মদের নেশা সর্বনাশা! মন্দিরে গিয়ে বিয়েই করে ফেললেন ২ মদ্যপ যুবক! ঘোর কাটতেই বাধল লড়াই

 


ODD বাংলা ডেস্ক: কথায় বলে মদের নেশা সর্বনাশা। সে প্রবাদ বাক্য যে কতখানি সত্যি, তা একেবারে হাড়ে হাড়ে টের পেলেন দুই মদ্যপ যুবক। নেশার ঘোরে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে একে অপরকে বিয়েই করে বসলেন তাঁরা!


এমনই আজব কাণ্ড ঘটেছে তেলেঙ্গানায় (Telengana)। সঙ্গরেড্ডি জেলার যোগীপেত এলাকার ২১ বছরের এক যুবক ও মেদাক জেলার চন্দুরের ২২ বছর বয়সি যুবক মনের সুখে দেদার মদ্যপান করেন। মদের নেশায় তাঁরা এতটাই বুঁদ হয়ে পড়েন যে আর ঠিক-বেঠিক জ্ঞানও ছিল না। মদ্যপ অবস্থাতেই ঠিক করেন তাঁরা পরস্পরকে বিয়ে করবেন! যেমন ভাবনা তেমন কাজ। সোজা পৌঁছে যান মন্দিরে। সেখানে থালা দিয়ে তৈরি একটি মালা পরিয়ে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন। কিন্তু নেশা কাটতেই সব গেল উলটে!


জানা গিয়েছে, চন্দুরের ওই বাসিন্দা পেশায় অটো চালক। একবার গ্রামেরই এক দোকানে যোগীপেতের যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। তারপরই বন্ধুত্ব। মাঝেমধ্যে দু’জনে মিলে মদ্যপানও করতেন। তেমনই গত মাসে একসঙ্গে জমিয়ে বসিয়েছিলেন মদের আসর। সেখানেই ঠিক করে পরস্পরকে বিয়ে করবেন। যোগীনাথ গুট্টা মন্দিরে গিয়ে বিয়েও সারেন। বিয়ের পর যে যাঁর বাড়ি ফিরে যান। এরপর সব ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল। তবে হঠাৎ করে বিষয়টি মাথাচাড়া দেয় গত সপ্তাহে যখন যোগীপেতের ওই যুবক সোজা গিয়ে হাজির হন চন্দুরের যুবকের বাড়িতে। তবে তাঁকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেননি চন্দুরের যুবক। মেজাজ হারিয়ে এরপর সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হন যোগীপেতের যুবক। তবে পুলিশ জানায়, পরবর্তীতে বিষয়টি থানার বাইরেই মেটানোর সিদ্ধান্ত নেয় দুই পক্ষ। যোগীপেতের বেকার যুবকটি নাকি চন্দুরের যুবকের পরিবারকে জানান, তাঁদের ছেলের সঙ্গে তিনি থাকবেন না। কিন্তু পরিবর্তে তাঁকে খোরপোশ দিতে হবে!


বিয়ের বন্ধনে জড়িয়ে মহা ফ্যাসাদে পড়ে যান চন্দুরের যুবক। অভিযোগ, যোগীপেতের যুবক নাকি তাঁর কাছ থেকে খোরপোশ হিসেবে এক লক্ষ টাকা দাবি করে বসেন। শেষে নাকি হাতে আসে ১০ হাজার টাকা। বেকার যুবকের জন্য সে-ই বা কম কী! তাই দুই পরিবারের অনুরোধে শেষমেশ মদের নেশায় করা বিয়ের বন্ধন থেকে মুক্ত হন দুই যুবক। তাই সাবধান! বন্ধুর সঙ্গে মদ্যপানের আগে দ্বিতীয়বার ভাববেন!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.