মানুষের হাতে সময় তিন বছরেরও কম! আর কি বাঁচার কোনো উপায়ই নেই?
ODD বাংলা ডেস্ক: আর বিলম্ব নয়। হাতে মাত্র তিন বছর। এর মধ্যে কার্বন নিঃসরণে রাশ টানতে না পারলে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। যে হারে পৃথিবীর উত্তাপ বাড়ছে, সবুজ কমছে, নিরন্তর ক্ষয় হচ্ছে ওজন স্তর, তাতে পৃথিবীকে আর বাসযোগ্য রাখাটা দুষ্কর।
সোমবার ২৮০০ পাতার সবিস্তার রিপোর্টে (ক্লাইমেট চেঞ্জ ২০২২ : মিটিগেশন অব ক্লাইমেট চেঞ্জ) মানবসমাজকে এই একান্ত জরুরি বার্তাটি দিয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু-সংক্রান্ত সংস্থা ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)।
আইপিসিসি যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী কার্বনের নিঃসরণ কমাতে মানুষের কাছে তিন বছরেরও কম সময় আছে। অর্থাৎ ২০২৫ সালের আগেই এ নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ করতে হবে।
পাশাপাশি বলা হয়েছে, গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৩ শতাংশ কমিয়ে ফেলতে হবে। ওই সময়েই মিথেনের পরিমাণও কমিয়ে ফেলতে হবে এক-তৃতীয়াংশ। না হলে বিপজ্জনকভাবে বাড়বে তাপমাত্রা। বহু দেশ ভুগবে পানি কষ্টে। বিশ্বজুড়ে বাড়বে জলস্তর। তলিয়ে যাবে বহু জায়গা। খাদ্যসংকট দেখা দিবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রিপোর্ট প্রসঙ্গে ভিডিও বার্তায় বলেন, কিছু সরকারি কর্মকর্তা এবং শিল্পপতি একরকম কথা বলেন আর অন্যরকম আচরণ করেন। এতে পৃথিবী বিপর্যয়ের দিকে চলেছে।
আইপিসিসির এই রিপোর্টটি অনুমোদন করেছে ১৯৫টি সদস্য দেশ। যা বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সবচেয়ে বিশদ রিপোর্ট বলে মানছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বিষয়টি নিয়ে বারবার সতর্ক করলেও অভিযোগ, আমেরিকাসহ একাধিক দেশ যেমন কার্বন নিঃসরণ কমানোর দায় চীন-ভারতের মতো দেশগুলোর দিকে ঠেলতে ব্যস্ত। অন্যদিকে এই দেশগুলোও উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে তা কমানোর দায় উন্নত বিশ্বের আদালতেই ঠেলে দিয়েছে। সব মিলিয়ে প্যারিস থেকে গ্লাসগো জলবায়ু আলোচনা বা চুক্তি—সবই থেকে গেছে নিছক কাগজে-কলমেই।
Post a Comment