একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কীভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়বেন ? জেনে নিন বিস্তারে



ODD বাংলা ডেস্ক: আপনি কি বিমান চালনায় ক্যারিয়ার গড়ার কথা ভাবছেন? কিন্তু চাইছেন অন্যরকম কিছু করতে? যদি আপনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে বিমান চালনায় একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। চলুন দেখে আসি, কীভাবে একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।


একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার কী কী কাজ করে থাকেন?


একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার মূলত এয়ারক্র্যাফটের সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট, মেইন্টেনেন্স, ইঞ্জিন ও ফুয়েল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারের কাজগুলো,


-এয়ারক্রাফটের জন্য বিভিন্ন ধরণের হার্ডওয়্যার ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট করা।

-বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের আপগ্রেড করা।

-বিভিন্ন হার্ডওয়্যারের ইমপ্লিমেন্টেশন স্পিড, পারফর্ম্যান্স ও ফাংশনালিটি বৃদ্ধি করা।

-বিভিন্ন এয়ারক্র্যাফটের জন্য হার্ডওয়্যার ট্রাবলশ্যুট করা ও কম্প্যাটিবিলিটি টেস্ট করা।

-টেকনিক্যাল এক্সপ্লোয়েশনে দলগতভাবে কাজ করা।

-এয়ারক্র্যাফটের টেকনিক্যাল অবস্থার দেখাশোনা করা ও ফ্লাইটের জন্য তৈরি করা।

-বিমানের চাকা, ফুয়েল, ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন অংশের দেখাশোনা করা ও সমস্যা থাকলে তার সমাধান করা।

-এয়ারক্র্যাফটের সকল কম্পিউটার সিস্টেমের দেখাশোনা করা।

-ফুয়েল গজ, উইং ফ্ল্যাপ, প্রেসার ইন্ডিকেটরসহ বিভিন্ন মেকানিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টের দেখাশোনা করা।

-আবহাওয়া সম্পর্কে বিমানচালকদের অবগত করা।

-এয়ারক্র্যাফটের অবস্থা, বাতাসের অবস্থা, কেবিন এয়ারফ্লো, ইঞ্জিন পাওয়ার এবং মূল ইলেক্ট্রিক্যাল সিস্টেমের মনিটরিং করা।

-বিমান চলাকালীন অবস্থায় মেকানিক্যাল, আইটি কিংবা ইন্সট্রুমেন্টাল কোনো সমস্যা হলে সেটার সমাধান করা।


একজন কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?


একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার পূর্বে আপনি, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট, নেটওয়ার্ক ও সিস্টেম ডেভেলপার, হ্যাকার, প্রোগ্রামার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অথবা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি দ্বারা ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। উপরোক্ত পদগুলো থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার, এয়ারক্র্যাফট হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অথবা কম্পিউটার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।


একজন সিনিয়র লেভেলের ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পূর্বে আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে, মবিলিটি হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, সিস্টেমস অ্যাপ্লিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার আর্কিটেকচার, মাইক্রোচিপ আর্কিটেকচার, সেমিকন্ডাক্টর আর্কিটেকচারের মতো কিছু পেশার দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকলে, ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হওয়াটা অনেক সহজ হয়ে যাবে আপনার জন্য।


একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারের কী ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে?


একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করার পূর্বে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, আইটি, কম্পিউটার সায়েন্স, হ্যাকিং, প্রোগ্রামিং অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও ডিজাইনের উপর কমপক্ষে দুই থেকে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা যায়। তারপর, হার্ডওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও ফ্লাইট কন্ট্রোলারের কোর্স করলেই একজন প্রফেশনাল ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া যায়।


যদি আপনি একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে আপনার বাৎসরিক বেতন এন্ট্রি লেভেল ও সিনিয়র লেভেলে ভিন্ন ভিন্ন হবে। এন্ট্রি লেভেলের একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারের বাৎসরিক বেতন হয় সর্বনিম্ন ২০ লক্ষ টাকা থেকে ৮০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। সিনিয়র লেভেলের একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারের বাৎসরিক বেতন হয় সর্বনিম্ন ৪০ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত।





কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.