Odd বাংলা ডেস্ক: আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ না করে ক্যারিয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন না। কিন্তু বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেকে নিয়োগদাতাদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হলে প্রয়োজন এমন কিছু দক্ষতা, যেগুলো অর্জন করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ কারণে এখন অনেকেই সচেতন হয়ে উঠেছেন।
ক্যারিয়ার প্রস্তুতি নেয়া কতটা জরুরি?
ক্যারিয়ার বাছাই করা বেশ কঠিন কাজ। নিজের পছন্দ-অপছন্দ, দক্ষতা আর সামর্থ্য – বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ কারণে সময় নিয়ে ক্যারিয়ার প্রস্তুতি নেয়া জরুরি। নাহলে পরবর্তীতে পেশা পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।
কখন নেবেন ক্যারিয়ার প্রস্তুতি?
মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় থেকেই নিজের পছন্দের বিষয় বা আগ্রহের পেশা ও তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত। এক্ষেত্রে খুব বেশি সচেতনতার দরকার নেই। শুধু আগ্রহের বিষয়ে খেয়াল রাখলেই যথেষ্ট। যেমন – ভবিষ্যতে আইন, দর্শন, ভাষা বা সাহিত্যের মতো বিষয়ে পড়ে ক্যারিয়ার গঠন করতে চাইলে এ পর্যায়ে মানবিক বিষয় নিয়ে পড়া ভালো। তেমনিভাবে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইলে মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নেয়া দরকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে যদি একটু সচেতন থাকা যায়, তাহলে ভর্তি পরীক্ষাও অনেকাংশে সহজ হয়ে যেতে পারে। কী হতে চান আর কোথায় পড়লে কাঙ্ক্ষিত পেশায় যেতে পারবেন – এ প্রশ্নগুলো মাথায় রেখে পড়াশোনা করলে পরীক্ষা প্রস্তুতিতে ভালোমতো মনোযোগ দিতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেও ক্যারিয়ার নিয়ে নতুনভাবে হিসাবনিকাশ করা যায়। এর কারণ সামাজিকভাবে প্রচলিত ধারণা। আমরা অনেকেই হয়তো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ বা শিক্ষকের বাইরে অন্যান্য পেশা সম্পর্কে জানিনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এ ধারণা বদলে দিতে পারে।
Post a Comment