টক দইয়ের উপকারিতা জানলে অবাক হবেন!
ODD বাংলা ডেস্ক: টক দইয়ে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। ডাক্তার বা পুষ্টিবিদরা সবসময় টক দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। খাওয়ার পরে ডেজার্ট হিসেবে অনেকেই টক দই খেয়ে থাকেন। এ টক দই খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন-
পুষ্টিগুণ: টক দইয়ে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলস ও আমিষ। এটি আমিষ জাতীয় খাবার। দুধের সমান পুষ্টি এতে রয়েছে।
উপকারিতা: শীতে ঠান্ডাসহ অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা লেগেই থাকে। এসময় টক দই খাওয়া খুবই জরুরি। কারণ টক দই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। টক দইয়ে থাকা উপকারি ব্যাকটেরিয়া শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। আর শরীরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে হজম ক্ষমতা বেড়ে যায়। তাই হজম সমস্যা প্রতিরোধে টক দই খুবই উপকারি।
টক দইয়ে রয়েছে ল্যাকটিক এসিড। যা কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও কোলন ক্যান্সারে আক্রন্ত রোগীদের জন্য খুবই উপকারি। যেহেতু টক দই ব্যাকটেরিয়া হজম সহায়ক। এজন্য এটি পাকস্থলীর জ্বালা পোড়া কমাতেও সাহায্য করে থাকে। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লবিক্স, ভিটামিন বি-৫, ৬ ও ১২ রয়েছে। এছাড়াও এতে প্রচুর ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে। আথ্রাইটিসের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে অনেক উপকৃত হবেন।
টক দইয়ে ফ্যাট খুবই কম থাকে। তাই কম ফ্যাট যুক্ত টক দই ক্ষতিকর কোলেস্ট্রোরেল এলডিএল কমাতে সাহায্য করে। যাদের দুধ সহ্য হয় না বা ল্যাক্টোজ ইন টলারেন্ট রয়েছে। তারা দুধের বিকল্প হিসেবে টক দই খেতে পারেন। কারণ দইয়ের ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোজকে ভেঙে ল্যাকটিক এসিড তৈরি করে ফলে পেটে কোনো সমস্যা হবে না। টক দইয়ের আমিষ দুধের থেকে সহজে ও অনেক কম সময়ে হজম হয়। তাই যাদের দুধ খেলে হজমে সমস্যা হয়ে থাকে তারা খুব সহজেই টক দই খেতে পারেন।
টক দই রক্ত শোধন করতে সাহায্য করে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়াও ডায়বেটিস ও হার্টের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। সেইসঙ্গে নিয়মিত টক দই খেলে তা অন্য খাবার থেকে পুষ্টি নিয়ে শরীরে সরবরাহ করতে সাহায্য করে। ফলে পুষ্টির কোনো সমস্যা দেখা দিবে না। কম ফ্যাটযুক্ত টক দই একটি ভালো নাস্তা। কারণ এটি খেলে পেট ভরা মনে হবে। তাই পুষ্টিহীন খাবার বা জাঙ্ক ফুড না খেয়ে পুষ্টিকর টক দই খেতে পারেন। যা ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
টক দইয়ে প্রচুর আমিষ থাকে। আর আমিষ হজম হতে সময় অনেক লাগে। অতিরিক্ত খাবার খেতে ইচ্ছা করবে না। আবার শরীর খুব বেশি ক্লান্তও হয়ে পড়বে না। টক দইয়ের পুষ্টি উপাদানগুলো দ্রুত শরীর শোষণ করে শরীরকে শক্তশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়াও টক দই ব্রেইনকে টায়রোসিন সরবরাহ করে। যা মানসিক প্রশান্তি দিয়ে থাকে ও ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে। সুতরাং ক্লান্তি কমানোর জন্য টক দই একটি ওষুধ হিসেবে কাজ করে। টক দইয়ে থাকা ক্যালসিয়ামও ওজন কমাতে সাহায্য করে।
গবেষণা থেকে জানা গেছে, শরীর যখন প্রচুর ক্যালসিয়াম পায় তখন তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আর যখন শরীর ক্যালসিয়াম পায় না তখন শরীরে ফ্যাট জমতে থাকে। তাই শরীরে যাতে কখনো ক্যালসিয়ামের ঘাটতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। টক দই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। টক দই শরীরে টক্সিন জমতে দেয় না। এটি অন্ত্রনালী পরিষ্কার করে শরীর সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। শরীরে টক্সিন কমার কারণে ত্বকের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
Post a Comment