বাতাসা-নকুলদানা নয়, এই দেবতার প্রসাদ হল চকোলেট!
ODD বাংলা ডেস্ক: ঈশ্বরকে প্রসাদ দেওয়ার সময়ে কোন কোন জিনিস উৎসর্গ। কেউ মিষ্টি উৎসর্গ করেন কেউ আবার ফল। ভারতকের বিভিন্ন প্রান্তে দেবতার প্রসাদও বিভিন্ন করমের হয়ে থাকে। কোথাও মুড়ি, কোথাও বা চিঁড়ে বা শুকনো ফল। কিন্তু ঠাকুরের প্রসাদ কি না চকোলেট! শুনেছেন কখনও!
অবিশ্বাস্য বলে মনে হলেও এটাই সত্যি। কেরলের 'ঠেক্কান পালানি' বালাসুব্রমনিয় মন্দিরের নিয়ম অনুসারে এখানে দেবতাকে দান করা হয় চকোলেট। ভক্তরা নিজেরা বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের চকোলেট উৎসর্গ করেন। এরপর ঈশ্বরের ভোগগ্রহণ হয়ে গেলে সেই চকোলেট পরিবারের সকলের জন্যও নিয়ে আসেন।
কেরলের সুব্রমণ্যপুরমে অবস্থিত মন্দিরের উপাস্য দেবতা স্থানীয়ভাবে 'মাঞ্চ মুরুগন' নামে পরিচিত। মন্দির কর্তৃপক্ষের মতে, জাতি-বর্ণ ও ধর্ম নির্বিশেষে লোকেরা ভগবান মুরুগার আশীর্বাদ প্রার্থনা করে চকোলেটের কার্টন নিয়ে আসেন। বিশেষত পরীক্ষার সময় এলে প্রচুর শিশুরা এই মন্দিরে আসে। তবে চকোলেট দেওয়ার এই নিয়ম কবে থেকে শুরু হয়েছে তা কেউই ঠিক করে বলতে পারে না।
মন্দিরের প্রধান দেবতা হলেন বালমুরুগন, লর্ড মুরুগা হলেন তাঁর সন্তান। প্রচলিত মত অনুসারে শিশু মুরুগা চকোলেট খেতে খুবই পছন্দ করে, সেই থেকেই হয়তো এই দেবতাকে টকোলেট দেওয়ার প্রচলন শুরু হয়। পুজার্চনার পর ফুল চন্দনের মতোই দেবতাকে উৎসর্গ করা চকোলেট ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম প্রথম অবশ্য শিশুরাই দেবতাকে চকোলেট দিত, তবে এখন অবশ্য বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সকলেই দেবতাকে চকোলেট দেন।
Post a Comment