আমাদের ছায়াপথে থাকা সুবিশাল কৃষ্ণগহ্বরের ছবি অবশেষে প্রকাশ্যে এল


ODD বাংলা ডেস্ক: কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চলছে। আমাদের এই ছায়াপথেও রয়েছে বিশাল কৃষ্ণগহ্বর। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সেই ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের প্রথম ছবি প্রকাশ করলেন জ্যোর্তিবিদরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে করে তাঁরা জানালেন, আমাদের ছায়াপথের কেন্দ্রে দৈত্যাকার এক কৃষ্ণগহ্বরে প্রথম সরাসরি চিত্র পেয়েছেন তাঁরা। ডোনাটের মতো দেখতে এই কৃষ্ণগহ্বরে ছবি তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষভাবে নির্মিত ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ।

ব্ল্যাকহোল হল এমন একটি জায়গা, যেখানে কোনো কিছু প্রবেশ করলে আর ফিরে আসে না। এমনকি আলোও এই গহ্বরকে অতিক্রম করতে পারে না। গর্ত বলে পরিচিত হলেও ব্ল্যাকহোলের মধ্যে কিন্তু পুরোটা ফাঁকা জায়গা নয়। বরং এর মধ্যে খুব অল্প জায়গায় এত ভারী সব বস্তু আছে যে এসবের কারণে তীব্র মহাকর্ষীয় শক্তি উৎপন্ন হয়। ব্ল্যাকহোলের পেছনে ‘ইভেন্ট হরাইজন’ নামের একটি স্থান আছে, যাকে বলা হয় ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্ন’। এই জায়গায় মহাকর্ষীয় শক্তি এতটাই তীব্র যে এখান থেকে কোনো কিছুই আর ফিরে আসতে পারে না।

যে কৃষ্ণগহ্বরটির ছবি তোলা হয়েছে, সেটি স্যাগিটারিয়াস এ* নামে পরিচিত। এর মহাকর্ষীয় কবল থেকে আলো বা কোনো বস্তুই বের হতে পারে না বলে এটি দেখা যায় না। কিন্তু এর ছায়া একটি উজ্জ্বল ও অস্পষ্ট আলোর বলয় এবং বস্তুর দ্বারা চিহ্নিত করা যায়। এই আলো কৃষ্ণগহ্বরে নিমজ্জিত হওয়ার আগে বিশেষ বলয় তৈরি করে। ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ (ইএইচটি) মূলত আটটি রেডিও টেলিস্কোপের একটি নেটওয়ার্ক। এর আগে ২০১৯ সালে মেসিয়ার ৮৭ নামের একটি ছায়াপথে থাকা একটি কৃষ্ণগহ্বরের প্রথম ছবি তুলতে পেরেছে এটি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.