যেসব কারণে ব্যাক পেইন হতে পারে, কী করবেন
ODD বাংলা ডেস্ক: বর্তমান সময়ে ব্যাক পেইনের সমস্যায় অনেকে ভুগছেন। একটানা শুয়ে থাকা, কম্পিউটারে বসে কাজ করা, কঠোর পরিশ্রম করা, ফ্র্যাকচার, ইনফেকশন, টিউমারসহ বিভিন্ন কারণে ব্যাক পেইন হতে পারে।
তবে ব্যাক পেইন প্রাণঘাতী বা গুরুতর কিছু নয়। তবে ব্যাক পেইনের কিছু কারণ রয়েছে।
আসুন জেনে নিই যেসব কারণে ব্যাক পেইন হতে পারে-
১. কঠোর পরিশ্রমের ফলে অনেকের ব্যাক পেইন হতে পারে। ভারী বস্তু উত্তোলন, পিঠে টান খাওয়া বা মোচড় লাগা থেকেও ব্যাক পেইন হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত একটু বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যায়। এ ছাড়া হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে।
২. আপনার বয়স হিসেবে, সোজা বা গোলাকার ডিস্কগুলো, যা প্রতিটি কশেরুকার মধ্যে ফিট থাকে— তারা কুশনিং ক্ষমতা হারিয়ে ফেললে একটি ব্যাকবোন অন্যটির বিরুদ্ধে ঘর্ষণ তৈরি করে, তখন ব্যাক পেইন হতে পারে।
৩. মেরুদণ্ডে একটি অস্বাভাবিক বক্ররেখা প্রায়ই শৈশব বা কৈশোরে বিকাশ লাভ করে। তবে যুবককাল বা তার পরবর্তী সময়ের জন্য এটি ব্যথার কারণ হয় না। যখন এটি মেরুদণ্ডের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ শুরু করে, তখন ব্যাক পেইন হতে পারে।
৪. পড়ে যাওয়া বা অন্য যে কোনো দুর্ঘটনার সময় আপনি কশেরুকা ভেঙে ফেলতে পারেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাড়ক্ষয় রোগ অস্টিওপরোসিসের ফলস্বরূপ ফ্র্যাকচারগুলো বিকাশ লাভ করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার কশেরুকা বিচূর্ণ হয়ে যেতে পারে, চলাফেরা করার সময় বা হাড়ের স্নায়ু সংকোচনের সময় মাঝারি থেকে তীব্র ব্যাক পেইন হতে পারে।
৫. বিরল, তবে মারাত্মক সংক্রমণের ফলে কশেরুকায় আঘাত হানতে পারে, এটি অস্টিওমাইলিটিস নামে পরিচিত। হাড়ের মধ্যে ফুলে যাওয়ার ফলে ব্যথা তৈরি হতে পারে।
এ ছাড়া কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণের ফলে ব্যাক পেইন হতে পারে। গর্ভবতী নারীরও ঘন ঘন ব্যাক পেইন দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ক্লান্তি থেকেও ব্যাক পেইন দেখা দেয়। এ ছাড়া মেরুদণ্ডে নতুন হাড় বৃদ্ধি পেলে ব্যাক পেইন হতে পারে।
ব্যাক পেইন দূর করতে কী করবেন-
ব্যাক পেইন হলে পিঠ সোজা হয়ে বাসা ও চলাফেরার অভ্যাস করুন। দুই পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে পা উঁচু রেখে ঘুমাতে হবে।
চেয়ারে বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার সময় বসার জায়গাটা যেন উঁচু থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। ভারী জলের বালতি বা ব্যাগ বহন করলে ব্যাক পেইন হতে পারে। তাই ভারী কিছু বহন করা যাবে না।
বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালানোর কারণে ব্যাক পেইন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাইসাইকেল চালানো পরিহার করতে হবে। ব্যাক পেইন হলে বিশ্রাম নিতে হবে।
কোমর ব্যথা হলে সেঁক ও বরফ দেয়া যেতে পারে। ব্যাক পেইন সারাতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না।
Post a Comment