রোজ রাত্রে বিছানার চাদরের নীচে সাবান রেখে ঘুমালে অবিশ্বাষ্য উপকার

 


ODD বাংলা ডেস্ক: অনেকেই রাত্রে ঘুমনোর সময়ে পায়ে যন্ত্রণা বা টান লাগার সমস্যায় ভোগেন। ঘুমের মাঝে, বিশেষত যখন সবেমাত্র ঘুমটা আসছে, তখনই আচমকা টান ধরে যায় পায়ের গোড়ালির একটু উপরের অংশে কিংবা উরুতে। কখনও কখনও সেই বেদনা বড় মারাত্মক হয়ে ওঠে। ঘুমের তো দফারফা হয়ই, অনেক সময়ে সকাল বেলাও ব্যথা রয়ে যায় পায়ে, হাঁটতে চলতে কষ্ট হয়।


সাধারণভাবে এই সমস্যাকে বলা হয় চার্লি হর্সেস। প্রধানত স্নায়বিক সমস্যার কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। এছাড়া কিডনির রোগ, অতিরিক্ত মদ্যপান, কিংবা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও ঘটে থাকে এমনটা।


মার্কিন ম্যাসাজ থেরাপিস্ট ভেলমা ভ্যালোরও এই সমস্যায় ভুগতেন। ঘুমের মাঝে যখন তখন যন্ত্রণা শুরু হত পায়ে। ডাক্তারের কাছে যাওয়ায় তাঁরা বলেন, এই সমস্যার কারণটিকে খুঁজে বার করে তাকে নির্মূল করতে হবে। কিন্তু সেই চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ। এই বেদনার কোনও চটজলদি সমাধান নেই।


ভেলমা ডাক্তারদের কথায় কিঞ্চিৎ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তারপর নানাবিধ ঘরোয়া টোটকা নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালাতে গিয়ে তিনি নিজেই আবিষ্কার করে ফেলেন এমন একটি ঘরোয়া কৌশল, যার মাধ্যমে ঘুমের মধ্যে পায়ের যন্ত্রণা থেকে হাতেনাতে মিলতে পারে মুক্তি।


ভেলমা রোজ রাত্রে নিজের শোওয়ার বিছানার চাদরের নীচে একটি সোপ বার বা সাবানের বার রেখে দেওয়া শুরু করেন। সাধারণ স্নান করার সাবানই ছিল সেটি। কিন্তু তাতেই অবিশ্বাস্য ফল ফলে। ভেলমা চিরতরে মুক্তি পান ঘুমের মাঝে পায়ের যন্ত্রণা থেকে।


কিন্তু এই ঘরোয়া টোটকা কি কাজ করবে অন্য মানুষের ক্ষেত্রেও? মে়ডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভেনিয়ার গবেষকরা বলছেন, আশ্চর্যজনকভাবে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই এই কৌশল কার্যকর। দেখা গিয়েছে, যাঁরা ঘুমের মধ্যে পায়ে খিঁচ ধরার সমস্যায় ভুগতেন, তাঁদের অনেকেই ঘুমের সময়ে বিছানার চাদরের নীচে সাবান রেখে দেখেছেন, মুক্তি মিলেছে সেই সমস্যা থেকে।


কিন্তু কীভাবে একটি সাবান নিষ্কৃতি দিতে পারে পায়ের যন্ত্রণা থেকে? গবেষকরা বলছেন, এই প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। একটা সম্ভাব্য কারণ হতে পারে এই যে, শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব ঘটলে পায়ে এই ধরনের টান ধরে। আর সাবানে থাকে ম্যাগনেসিয়াম। কাজেই এমনটা হওয়া অসম্ভব নয় যে, সাবানের সংস্পর্শে পা দু’টি থাকলে, পায়ের ম্যাগনেসিয়াম ঘাটতি কিছুটা লাঘব হয়। সেই কারণেই হয়তো মুক্তি মেলে পায়ের আকস্মিক যন্ত্রণা থেকেও।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.