অন্য নজির, অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষে বাংলার পিয়ালি



ODD বাংলা ডেস্ক: ইতিহাস গড়লেন চন্দননগর নিবাসী বাঙালি পর্বতারোহী পিয়ালি বসাক। জয় করলেন মাউন্ট এভারেস্ট! তা-ও আবার কোনও রকম সাপ্লিমেন্টারি অক্সিজেন ছাড়াই। রবিবার সকালে সাড়ে আটটা নাগাদ এভারেস্টের শীর্ষে পৌঁছান পিয়ালি। খবর আসতেই খুশির হাওয়া গোটা রাজ্যে।

দেশের প্রথম মহিলা হিসেবে অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়া গত অক্টোবরে পৃথিবীর সপ্তম সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ধৌলাগিরি জয় করেছিলেন পিয়ালি। তার ঠিক সাত মাসের মধ্যে আবারও অনন্য কৃতিত্বের অধিকারী হলেন তিনি। এর আগে এভারেস্টের সামনে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে। এ বারও আর্থিক  সমস্যায় পড়েছিলেন। সব বাধা পেরিয়েই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ করলেন বাঙালি মেয়ে।

দীর্ঘদিন ধরেই এভারেস্টের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পিয়ালি। তবে তাঁর যাত্রার পথে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অর্থ। বাড়ি বন্ধক রেখে এবং নিজের যাবতীয় সঞ্চয় একত্র করেও ১৮ লাখ টাকার বেশি হচ্ছিল না। এ দিকে, এভারেস্ট অভিযানের জন্য দরকার ছিল ৩৫ লাখ। পুরো টাকা না পেলে এভারেস্ট অভিযান করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে দিয়েছিল নেপাল সরকার। এই অবস্থায় ফেসবুকে পোস্ট করে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থের আবেদন করেন পিয়ালি। সেখান থেকে আরও ৫লাখের মতো টাকা ওঠে। তখনও দরকার ছিল ১২ লাখ। এমন সময় পিয়ালির সাহায্যে এগিয়ে আসে তাঁর এজেন্সি। তারাই আপাতত বাকি টাকা দিয়ে দেবে বলে জানায়। ফলে শেষ মুহূর্তে এভারেস্টে ওঠার অনুমতি পান পিয়ালি। 

প্রসঙ্গত, কেবল বাংলা নয়, গোটা দেশ থেকেই অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়া মাউন্ট এভারেস্টে চড়ার নজির নেই। খুব কম সংখ্যক পর্বতারোহীই এই সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এখানেই নজির গড়লেন ব্যতিক্রমী পিয়ালি। গত ১ মে বেস ক্যাম্পে পৌঁছন। এর পর আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ৫ মে দ্বিতীয় ক্যাম্পে পৌঁছন। আবার বেস ক্যাম্পে ফিরে আসেন। এর পর ধীরে ধীরে এভারেস্টের শৃঙ্গের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। জানা গিয়েছে, পিয়ালির সঙ্গে অভিজ্ঞ পর্বতারোহী দাওয়া শেরপা রয়েছেন। এভারেস্ট জয় করে এ বার ক্যাম্প ৪-এ ফিরে বিশ্রাম নেবেন পিয়ালি। এর পর অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই মাউন্ট লোৎসের দিকে যাবেন তিনি। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.