স্বামীকে বন্দি রাখার ব্যবস্থা শপিং মলেই, নারীরা কেনাকাটা করেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা
ODD বাংলা ডেস্ক: যেকোনো উৎসবের আনন দই দ্বিগুণ করে দেয় নতুন পোশাক। তাইতো উৎসব উপলক্ষে শপিং করা প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু কোনো উপলক্ষ ছাড়াও শপিং করার অভ্যাসও আছে অনেকেরই। বিশেষ করে নারীদের এই অভ্যাস একটু বেশি। কারণ নারীরা শপিং করতে ভালোবাসেন। এমন কোনো নারীকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যে শপিং করতে পছন্দ করেন না।
মানসিক অবসাদ থেকে মুক্ত হতে কিংবা মন ভালো করতে শপিং করার বিকল্প নেই। তবে নারীরা শপিং করতে পছন্দ করলেও পুরুষরা কিন্তু তার বিপরীত। তারা শপিং করতে মোটেও পছন্দ করেন না, বরং তাতে বিরক্ত হন।
নারীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মার্কেটে ঘুরেও শপিং করতে কষ্টবোধ করেন না। অন্যদিকে পুরুষরা নারীর এই কাজে অনেকটাই অসহায় আবার বিরক্তও বোধ করেন। আর এ কারণেই কি না স্বামীকে ‘হাজবেন্ড স্টোরেজে’ বন্দি করে নিজেরা শপিংয়ে বের হন চীনা নারীরা। এমনই অদ্ভুত কর্মকাণ্ড চালু আছে সেদেশে।
চীনের সাংহাইয়ের নামকরা শপিংমলে ‘গ্লোবাল হার্বার মল’ এই ব্যবস্থা চালু আছে। সেখানে পুরুষদের জন্য ‘হাজবেন্ড স্টোরেজ’ এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এই ব্যবস্থাকে চীনারা বলেন ‘ডেং নি বা’, যার আক্ষরিক অর্থ ‘আপনার জন্য অপেক্ষা করা’। স্ত্রীরা যখন শপিং করতে ব্যস্ত, স্বামীরা তখন এই ম্যান পডে বসে অপেক্ষা করেন।
কাচ দিয়ে ঘেরা স্থানটিতে আছে একটি গেম চেয়ার, একটি স্ক্রিন, একটি কম্পিউটার। পুরো গেম প্যাড দিয়ে সজ্জিত এই পড। আধা ঘণ্টার জন্য ২০ ইউয়ান (৩ মার্কিন ডলার) ও এক ঘণ্টার জন্য ৩০ ইউয়ান (৪ মার্কিন ডলার) গুনতে হয় এই পডে অবস্থান করার জন্য।
এই শপিংমলের কর্মীরা বলছেন, স্ত্রীরা যাতে তাদের স্বামীদের বিরক্ত হওয়ার বিষয়ে চিন্তা না করে নিশ্চিন্তে কেনাকাটা করতে পারেন, সে কারণেই এই ব্যবস্থা। তবে এই ব্যবস্থার বিপক্ষেও কথা বলছেন অনেকে।
তাদের মতে, স্বামীর উচিত স্ত্রীকে শপিংয়ে সাহায্য করা। এই ব্যবস্থার কারণে সেটা আর সম্ভব নয়। তবে অনেক নারীই এই সুবিধার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
Post a Comment