কেন ঘুম থেকে উঠে কাঁধ শক্ত হয়ে হাত তুলতে পারেন না?

ODD বাংলা ডেস্ক: বিজ্ঞানের ভাষায় বিষয়টির নাম ‘অ্যাডেসিভ ক্যাপসুলাইটিস’। এই রোগে কাঁধের বল ও সকেট সন্ধি আক্রান্ত হয়।

কাঁধ শক্ত হয়ে যাওয়াকে ইংরেজিতে বলে ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’। অনেক সময় ঘুম থেকে উঠে কিংবা স্থির অবস্থা থেকে নড়াচড়া করতে গেলে প্রবল ব্যথা অনুভূত হয় কাঁধে। মনে হয় যেন কোনও মতেই নাড়ানো যাচ্ছে না কাঁধ। বিজ্ঞানের ভাষায় বিষয়টির নাম ‘অ্যাডেসিভ ক্যাপসুলাইটিস’। এই রোগে কাঁধের বল ও সকেট সন্ধি আক্রান্ত হয়।

মূলত ৪০ থেকে ৬০ বয়সি ব্যক্তিদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। তা ছাড়া ডায়াবিটিস, থাইরয়েড ও হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যায় ভোগা রোগীদের ক্ষেত্রেও অনেকটাই বেশি এই রোগের ঝুঁকি। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

কেন হয় এই সমস্যা?

যে অস্থি সন্ধি দ্বারা বাহু ও কাঁধ সংযুক্ত থাকে সেই অস্থিসন্ধিতে অবস্থিত হাড়, লিগামেন্ট ও টেনডনগুলি কিছুটা ক্যাপসুলের মতো এক প্রকার টিস্যু দ্বারা আবৃত থাকে। এই ক্যাপসুল ফুললে বা শক্ত হয়ে গেলে ফ্রোজেন শোল্ডার দেখা দিতে পারে। তবে ঠিক কেন এই ঘটনা ঘটে তা নিয়ে অবশ্য নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা।

কী দেখে চিনবেন?

ফ্রোজেন শোল্ডারের লক্ষণগুলি মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম ধাপে কাঁধে ব্যথা শুরু হয় ও হাত নাড়তে অসুবিধা দেখা হয়। দ্বিতীয় ধাপে ব্যথা কমে এলেও হাত আটকে আসে। কোনও মতেই নড়াচড়া করা যায় না। তৃতীয় ধাপে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসে কাঁধ, ধীরে ধীরে নড়ানো যায় হাত।

সাধারণত কিছু সময় পর নিজে থেকেই কমে আসে এই সমস্যা। তবে নিজে থেকে না কমলে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম মুক্তি দিতে পারে এই সমস্যা থেকে। ক্ষেত্র বিশেষে চিকিৎসকরা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। কিছু বিরল ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় অস্ত্রোপচারের। অনেক সময় কাঁধের চোট কিংবা স্ট্রোক থেকে সেরে ওঠার সময় এই সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই ধরনের সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞরা কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.