চশমার ফ্রেমে যেই সংখ্যা লেখা থাকে, এগুলি কী জানেন?

ODD বাংলা ডেস্ক: খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই, চশমার ডাঁটের ভেতরের দিকে কতগুলো সংখ্যা লেখা থাকে। এগুলোকে চশমার ফ্রেমের কোড বলা যায়। এই সংখ্যাগুলো কী প্রকাশ করে? জানার আগ্রহ আছে নিশ্চই? তাই চশমার ফ্রেম কেনার আগেই এই কোডগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

চশমার ফ্রেমের কোড-রহস্য

যদি আপনি কোডের রহস্য ভেদ করতে পারেন, তাহলে নিজের জন্য জুতসই একটা ফ্রেম বেছে নেওয়া অনেকটাই সহজ হবে। অনেক সময় দেখা যায়, যেই ফ্রেমটা কিনলেন সেটা হয় একটু ঢিলা না হয় একটু চাপানো। কিন্তু এই কোড সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি এ ধরণের সমস্যা এড়াতে পারবেন।

চশমার কোডে তিনটি বিষয় লুকিয়ে থাকে।

চোখের আকার (আই সাইজ)

দুই ফ্রেমের সংযোজকের আকার (ব্রিজ উইডথ)

ফ্রেমের ডাঁটের  আকার (টেম্পল লেংথ)

এই তিনটির আকারই পরিমাপ করা হয় মিলিমিটারে। চলুন তিনটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানা যাক।

চোখের আকার

সাধারণত আমাদের চোখের আকার (আই সাইজ) ৪৪ মিলিমিটার থেকে ৫৮ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তাই চশমার ডাঁটে শুরুতে যেই সংখাটি থাকবে তা আপনার চোখের মাপের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে।

দুই ফ্রেমের সংযোজকের আকার

সাধারণত দুই ফ্রেমের সেতুবন্ধটির আকার ১৪ থেকে ২৪ মিলিমিটার হতে পারে। মানুষের নাকের গঠনের কারণে এই সেতুবন্ধের তারতম্য হয়। তাই আপনার মাপ অনুযায়ী কোডের দ্বিতীয় লেখাটি মিলিয়ে নিবেন।

ডাঁটের আকার

মানুষের মুখের আকার-আকৃতির কারণে চশমার ডাঁট ছোট-বড় হয়। এটা সাধারণত ১২০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। তাই আপনার মুখের আকার অনুযায়ী ডাঁটের কোড মিলিয়ে নেবেন।

এই সংখ্যাগুলোর বাইরেও আপনি কিছু সংখ্যা বা অক্ষর দেখতে পাবেন। সেগুলো ফ্রেমের মডেল ও রঙের কোড, উৎপাদনের সালও থাকে। তবে মনে রাখতে হবে, আলাদা দুটি ফ্রেমের মাপজোপ একই হলেও অনেক সময় আকৃতির কারণে আপনার চোখে জুতসই না-ও হতে পারে।

যে কারণে ফ্রেমের কোড জানা জরুরি

বিশেষজ্ঞদের মতে,, চশমা ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি সাধারণ ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। ধারণাটি হলো, চশমা ব্যবহারকারীরা ভাবেন, তাদের চশমার ফ্রেমের ‘আই সাইজ’ স্থির থাকে। কিন্তু ব্যাপারটি মোটেই এমন নয়।

উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, আপনার আয়তাকার চশমাটির ফ্রেমের আই সাইজ ৫৬ মিলিমিটার। লেন্স দুটির মধ্যে দূরত্ব ১৬ মিলিমিটার। এখন আপনি যদি একটি গোলাকার ফ্রেম নিতে চান, সে ক্ষেত্রে আই সাইজ কিন্তু ৫০ মিলিমিটারও হতে পারে। 

আর লেন্স দুটির দূরত্ব হতে পারে ১৮ মিলিমিটার। অর্থাৎ আপনার বর্তমান চশমার ফ্রেমের আকার আপনার জন্য স্থির নয়। চশমার ফ্রেমের আকৃতি (শেপ) পরিবর্তন হলে ফ্রেমের মাপগুলো বদলে যেতে পারে।

দোকানে কিংবা অনলাইনে চশমার ফ্রেম কেনার সময় আমরা কেবল চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের ওপর নির্ভর করি। 

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রেসক্রিপশন যেমন একটি অপরিহার্য বিষয়, তেমনি চশমা আপনার মুখে সঠিকভাবে বসেছে কি না, তা নিশ্চিত করাও ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। 

ফ্রেমের মাপগুলো অনুসরণ করতেই পারেন, তবে প্রতিটি চশমা আলাদা। তাই একদম জুতসই চশমা বেছে নিতে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.