সাবধান! নাইট শিফট করলে হতে পারে যে অসুখ
ODD বাংলা ডেস্ক: অফিসে নাইট শিফট করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। তবুও ভাবছেন শরীর সব মানিয়ে নেবে। তা হলে জেনে রাখুন, আপনার ধারণা ভুল। কারণ অনেক দিন নাইট শিফট করতে করতে আপনি নানা ধরনের রোগে পড়ে যাবেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রত্যেক মানুষের শরীরেই থাকে বায়োলজিকাল ক্লক বা ঘড়ি। এই ঘড়ি আমাদের খাওয়া ঘুমের সময় নির্ধারণ করে। তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে পারলেই সুস্থ জীবনযাপন করা যায়।
বেশির ভাগ মানুষেরই বায়োলজিক্যাল ক্লক দিন থেকে রাতের দিকে যায়। হঠাৎ করে বায়োলজিকাল ক্লকটাকে ঘুরিয়ে দিলে ঘুমের সময় কমে যেতে পারে, এর ফলে আয়ু কমে যাবে আপনার। এই একই কারণে হতে পারে নানা ধরনের অসুখ। চিকিৎসকেরা বলছেন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং ওবেসিটির মতো রোগ শরীরে সহজেই হয়। ক্রমেই বাড়তে থাকে হার্টের অসুখের আশঙ্কা। ক্লান্তি ভাবও বেড়ে যায় ও তার ছাপ চোখেমুখে পড়তে থাকে।
একান্ত যদি নাইট শিফট এড়ানো না যায়, নিজের জন্য চাই বাড়তি যত্ন। প্রতিদিন একই সময়ে খান, তা হলে বডি ক্লক ধীরে ধীরে আপনার নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নেবে। মদ, সিগারেট জীবন থেকে বাদ দিন। যদি অনিয়ম করতেই হয়, মাসে একটি ছুটির দিনই রাখুন তার জন্য। চা, কফি কমিয়ে সেই জায়গায় পানি এবং ফলের পরিমান বাড়ান।
কখনোই খালি পেটে ঘুমাতে যাবেন না। নির্দিষ্ট সময়ে খিদে না পেলে, শারীরিক সমস্যা না থাকলে দুধ খান। দুধ ভাল ঘুমের ওষুধ। শরীর সতেজ রাখতে সঙ্গে রাখুন ড্রাই ফ্রুট, বাদামজাতীয় খাবার। ঘুমাতে যাওয়ার আগে উষ্ণ গরম জলে স্নান করুন। হালকা গান চালান। নিশ্চিত থাকুন কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা আপনার ঘুমে কোনো সমস্যা থাকবে না।
Post a Comment