গবেষণাগারে তৈরি মশা ছাড়বে মার্কিন সংস্থা! কারণ কী?
ODD বাংলা ডেস্ক: একেই বলে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা! মশা দিয়েই মশার বংশকে শায়েস্তা করার ব্যবস্থা করল একটি মার্কিন গবেষণা সংস্থা। গবেষণাগারে জিন বদলে ক্যালিফোর্নিয়ার বনাঞ্চলে কোটি কোটি ‘ভাল’ মশা ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। এর ফলেই নাকি শায়েস্তা হবে মারণ রোগ বাহক এডিস ইজিপ্টি মশার দল। কিন্তু ঠিক কীভাবে তা সম্ভব?
সে কথা বলার আগে জেনে নেওয়া যাক, এই এডিস মশা কতখানি ভয়ংকর। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই মশাই জিকা (Zika), চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) হলুদ জ্বর (Yellow Fever) ইত্যাদি মারণ রোগের কারণ।
যে রোগগুলিতে গোটা পৃথিবীর অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর হয়েছে। কীভাবে এর সুরাহা করা যায় তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চলছে। সেই সমস্যার সমাধানেই অভিনব উপায় বের করেছে মার্কিন গবেষণা সংস্থাটি।
সংস্থাটি তুলনামূলক উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলে জিন বদল করে যে মশা ছাড়বে, তার ফলেই নাকি কমে যাবে এডিস মশার সংখ্যা। জানা গেছে, ওক্সিটেক (Oxitec) নামের এই সংস্থাটি বিশেষ উপায়ে গবেষণাগারে যে মশার জন্ম দিয়েছে, তাদের শরীরে রয়েছে বিশেষ প্রোটিন, যার ফলে তারা কামড়াতে অক্ষম। মূল পরিকল্পনা হল, এই মশাকে ক্যালিফোর্নিয়ায় বনাঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া। এতে ‘ভিলেন’ এডিস মশা গবেষণাগারের মশার সংস্পর্শে আসবে। এবার যে বংশবৃদ্ধি হবে সেই মশা মারণ চরিত্র হারাবে বলেই দাবি মার্কিন গবেষণা সংস্থার। ফলে মশাবাহিত রোগের পরিমাণ কমবে।
জানা গেছে, গত মাসেই মার্কিন গবেষণা সংস্থার এই অভিনব প্রজেক্টিকে ছাড়পত্র দিয়েছে ইউএস এনাভায়ারমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সি। শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ সেরেই সংস্থাটি কথা মতো কাজে নামতে চাইছে।
যদিও হালকা সমস্যা দেখা দিয়েছে এই প্রজেক্ট নিয়ে। আসলে এলাকার বাসিন্দারা ভয় পাচ্ছেন। তাদের মনে শংসয়, শেষকালে গবেষণাগারে তৈরি মশায় হিতে বিপরীত হবে না তো!
Post a Comment