টোল পড়া আসলে শারিরীক বিকৃতি! জানুন বিস্তারিত...

ODD বাংলা ডেস্ক: গালে টোল পড়া মানুষের কতই না কদর। বন্ধু মহলে বা বিপরীত লিঙ্গের মানুষের কাছে একজন মানুষের দাম বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় এই টোল। যে হাসি দিলে টোল পড়ে তার দাম্ভিকতাও থাকে বেশ। এ সবের কারণই হল গালে টোল পড়লে একজন মানুষকে বেজায় সুন্দর দেখায়।

অথচ বেশিরভাগ মানুষই আসলে জানেনা যে গালে টোল পড়া একধরনের শারিরীক বিকৃতি। এই বিকৃতির কারণেই আসলে গালে টোল পড়ে। মানুষের হাসির জন্য দায়ী যে মাংসপেশি, তার নাম জাইগোম্যাটিক মেজর। এটি মানুষের মুখ কোনাকুনি বা তির্যকভাবে বাঁকা করে হাসতে সাহায্য করে। মানুষের গালের হাড় থেকে মুখের প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এর জন্যই।

আর এই পেশির বিকৃতির ফলেই টোল পড়ে সাধারণত। স্বাভাবিক আকারের থেকে এই পেশির আকার ছোট কিংবা দুই ভাগে বিভাজিত হওয়ার ফলে থুতনিতে বা গালে টোল দেখা যায়। গালের টোলের জন্য হাসার প্রয়োজন পড়লেও থুতনির টোল সবসময়ই দেখা যায়। সচরাচর টোল পড়া মানুষের দুই গালেই টোল দেখা যায়। মাঝে মাঝে এক গালেও দেখা যায়। তবে এটা একেবারেই বিরল।

গবেষণায় দেখা গেছে, টোল বিষয়টা জেনেটিক কারণে হয়, তবে অনেকে এর বিরোধিতাও করেন। মা-বাবার কারো টোল থাকলে তাদের সন্তানের টোল থাকার সম্ভাবনা প্রায় ২৫-৫০ শতাংশ। এক্ষেত্রে দু’জনের একজনের টোল সৃষ্টিকারী জিন সন্তানের মধ্যে থাকলেই চলবে। আর মা-বাবার টোল থাকলে সন্তানের টোল থাকার সম্ভাবনা ৫০-১০০ ভাগ! মা-বাবার কারোই এটি না থাকলে সন্তানের টোল থাকার সম্ভাবনা নেই। মুখে অতিরিক্ত চর্বি জমে যাওয়ার কারণেও টোল পড়ে। তবে তা স্থায়ী নয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.