অভিনেত্রী বিদিশার মৃত্যুর পর বান্ধবী মঞ্জুষার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার!


ODD বাংলা ডেস্ক: প্রয়াত মডেল বিদিশা দে মজুমদারের বন্ধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল পাটুলি থেকে। মৃতার নাম মঞ্জুষা নিয়োগী। ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিনেত্রীর বেডরুমে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় এদিন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পাটুলি থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে অনেক ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দরজা খোলেননি মঞ্জুষা। এরপর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখা যায় বীভৎস সেই দৃশ্য। এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। 

ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, বিদিশার মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই অবসাদে ছিলেন মঞ্জুষা। বারবারই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনিও বিদিশার  পথে হাঁটতে পারেন! কিন্তু, সত্যিই যে এহেন পদক্ষেপ নেবেন তা মানতে পারছেন না তাঁর পরিবার। এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার। মৃতার মা সংবাদমাধ্যমকেজানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারও মঞ্জুষা ফটোশ্যুট করতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ফিরেই ওই কাণ্ড ঘটান বলে দাবি তাঁর।

জানা গিয়েছে, মঞ্জুষা বিবাহিত। বৃহস্পতিবার মঞ্জুষার স্বামী তাঁকে নিতে এসেছিলেন। কিন্তু, যেতে নারাজ ছিলেন অভিনেত্রী। স্বামী ফের একই কথা বলায় অভিনেত্রী নাকি সুইসাইড করার হুমকি দেন। এমনটাই জানিয়েছেন মঞ্জুষার মা। তাঁর কথায়, "জামাই বলেছিল বাড়ি ফিরতে। কিন্তু, ও ফিরতে চায়নি। বলেছিল জোর করলে বিদিশার মতো কাণ্ড ঘটাবে! সত্যিই তা হবে ভাবিনি। আমি জামাইকে বলেছিলাম কিছুদিন এখানেই থাকুক।" তিনি আরও বলেন, "খাওয়াদাওয়া একেবারেই করত না। ডায়েট করত। জামাই বলত ঠিক করে খেতে। স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে।"

কাজে কি বাধা দিতেন মঞ্জুষার স্বামী? মৃতার মায়ের উত্তর, "বাধা দিত না। নিজের প্রতি যত্ন নিতে বলত।" ডুকরে উঠে তাঁর সংযোজন, "জানেন, মেয়েটা চিংড়ি খেতে ভালোবাসত। ওর জন্য গলদা চিংড়ি এনেছিলাম।" তিনি জামাইকে জানান, কিছুদিন মঞ্জুষাকে বাপের বাড়িতে থাকতে দিতে। এরপরেই চরম পদক্ষেপ নেন মঞ্জুষা। মৃতার মায়ের দাবি,পল্লবী দে-র সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল অভিনেত্রীর। তাঁর মৃত্যুর প্রভাব পড়েছিল মেয়ের উপর, এমনটাই দাবি করছেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.