৩০ বছর ধরে রাস্তার ধারে ছোট্ট স্টলে খাবার বিক্রি করছেন এই চিকিৎসক


ODD বাংলা ডেস্ক:স্ট্রিটফুড খেতে কে না ভালোবাসেন। বাইরে বেরিয়ে ফুচকা, ঝালমুড়ি কিংবা ভেলপুরি না খেলে দিনটাই মাটি। হোক সেটা বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা শপিংয়ে গিয়ে। তবে বাইরের এসব খাবার কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

গত ৩০ বছর ধরে মুম্বইয়ের রাজপথে ঘরে তৈরি খাবার বিক্রি করছেন এক চিকিৎসক। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি, তার নামের পাশে উজ্জ্বল ‘ডক্টর’ পরিচয়! বাড়িতে রান্না করা তাজা খাবার তিনি বিক্রি করছেন রাস্তার পাশে ছোট্ট স্টলে। এই উদ্যোগে তার সঙ্গে সামিল সুনীতার স্বামীও।

সম্প্রতি এক ফুডব্লগারের করা ভিডিওতে দেখা যায় এই চিকিৎসককে। যিনি রাস্তার পাশে একটি স্টলে স্ট্রিটফুড বিক্রি করছেন। তাও ৩০ বছর ধরে। রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। 

৫৫ বছর বয়সী চিকিৎসক সুনীতা গত ৩০ বছর ধরে এই দোকান চালাচ্ছেন। এর বাইরে সুনীতার আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি একজন নিউট্রিশনিস্ট এবং ডায়েটিশিয়ান। তাঁর মতে, ইচ্ছা থাকলে একজন একই সময়ে চারটি কাজও করতে পারেন। তাই নিজের পেশার বাইরে তিনি খাবারের দোকানও চালান।

ইনস্টাগ্রাম ফুড ব্লগার তার পোস্টে সুনীতার স্টল এবং স্টলে তার কাজ নিয়ে লিখেছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তিনি খাবারভর্তি পাত্রের পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন। তার কাছে যে থালি পাওয়া যায়, তাতে ৪০ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যায় ভাত, ডাল, রুটি, তরকারি, পুরি, আচার এবং পাঁপড়। সব কিছুই সুনীতা নিজে বাড়িতে রান্না করেন।

তিনি যেহেতু একজন নিউট্রিশনিস্ট, তাই তার ক্রেতাদেরও তিনি পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খাওয়াতে চান। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। তবে ঘরের বাইরে স্বাস্থ্যকর খাবার পাওয়া খুবই মুশকিলের ব্যাপার। কিছু মানুষকে যেন তিনি সেই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার দিতে পারেন। এই ভাবনা থেকেই তিনি একটি খাবারের স্টল দিয়েছিলেন ৩০ বছর আগে।

সুনীতা শুধু রান্নাই করেন না, খাবার প্যাকিং এবং পরিবেশন সবটা তিনিই করেন। তাঁর স্বামী তার কাজে সবসময় পাশে থাকেন।নেটিজেনরা মুগ্ধ সুনীতার কাজে। ডায়েটিশিয়ান ও নিউট্রিশনিস্ট পরিচয়ের বাইরে তার এই ভূমিকায় মুগ্ধ নেটদুনিয়া। খাবারের স্বাদও ভালো বলে অনেকেই জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.