বয়ফ্রেন্ড থাকলেও এখানকার মেয়েরা দ্বিতীয় প্রেম করে, হৃদয় ভাঙ্গায় এক নম্বর

 


ODD বাংলা ডেস্ক: রোমান্সের দিক থেকে শীর্ষে বিশ্বের কোন শহর (Most Seductive City)? কোন শহরের প্রেমিক-প্রেমিকারাই বা সবথেকে বেশি অবিশ্বস্ত (Most Unfaithful City), এইসব প্রশ্ন নিয়েই সমীক্ষা চালালো ইংল্যান্ডের (England) 'দ্য বটল ক্লাব' (The Bottle Club)। 

 

রোমান্সের দিক থেকে শীর্ষে বিশ্বের কোন শহর (Most Seductive City)? কোন শহরের প্রেমিক-প্রেমিকারাই বা সবথেকে বেশি অবিশ্বস্ত (Most Unfaithful City), অর্থাৎ তাঁদের পার্টনারদের হৃদয় সবথেকে বেশি ভেঙে থাকে কোন শহরের মানুষ? এইসব অদ্ভূত প্রশ্ন নিয়েই সম্প্রতি এক সমীক্ষা চালিয়েছে ইংল্যান্ডের (England) 'দ্য বটল ক্লাব' (The Bottle Club)। আশ্চর্যের বিষয় হল বিশ্বের যে শহরটি রোমান্সের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে, প্রতারণার ক্ষেত্রেও তারাই রয়েছে সবথেকে এগিয়ে। আর তাদের এই সমীক্ষা নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। 


ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোম্যান্স করার ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন (London)। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, লন্ডনের যুবক-যুবতীরাই একে অপরের প্রতি সবথেকে বেশি আকৃষ্ট হন, প্রেম করার ব্যাপারে সেরা। বিশ্বের সিডাকটিভ শহরগুলির বিভাগে, লন্ডন শহর ৮০ নম্বরের মধ্যে ৭২.২ নম্বর পেয়েছে। 


সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন পর্নোগ্রাফিক সাইটে অ্যাকাউন্ট রয়েছে ১ লক্ষেরও বেশি লন্ডনবাসীর। সারা বছর ধরে ইংল্যান্ডের রাজধানীতে অন্তত ১৩১ টি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। শুধু তাই নয়, শহরের প্রায় ১০ হাজার মানুষ অনলাইনে অ্যাডাল্ট সাইটে নগ্ন ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে আয় করেন। 


Bottle club survey, London is worlds number 1 city in romance ALB


সিডাক্টিভ শহরগুলির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্কিন শহর লাস ভেগাস (Las Vegas)। এই শহর মোট ৮০ নম্বরের মধ্যে ৬৭.৬ নম্বর পেয়েছে। আর এই ক্যাটাগরিতে, তৃতীয় স্থান পেয়েছে আরেক মার্কিন শহর নিউইয়র্ক (New York)। ৮০ নম্বরের মধ্যে এই শহর পেয়েছে ৬৬.৫ নম্বর। 


সমীক্ষার দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে ছিল স্ট্রেঞ্জ রোম্যান্স (Strange Romance) বিভাগ। অর্থাৎ, কল্পনার পাখনা মেলে দিয়ে অস্বাভাবিক প্রেম। এই ক্ষেত্রেও প্রথম স্থান পেয়েছে লন্ডন। সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, এখানকার যুবক-যুবতীরা তাদের কল্পনায় কোনও লাগাম দেননা। ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে নিজেদের কামনা-বাসনা পূরণ করতেও পিছপা হয় না তারা। ইচ্ছাপূরণে অদ্ভুত, অভিনব সব উপায় গ্রহণ করে। এই বিভাগে ৪০ নম্বরের মধ্যে লন্ডন পেয়েছে ৩৯ নম্বর। এই বিভাগে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাস ভেগাস পেয়েছে ৩৮ পয়েন্ট। এক্ষেত্রে, তিন নম্বরে রয়েছে জার্মানির (Germany) রাজধানী বার্লিন (Berlin)। এই শহর স্ট্রেঞ্জ রোমান্স বিভাগে পেয়েছে ৩২.৫ নম্বর। 


Bottle club survey, London is worlds number 1 city in romance ALB


সমীক্ষার তৃতীয় ক্যাটাগরি ছিল অবিশ্বাসের। কোন শহরের প্রেমিক-প্রেমিকারা, তাদের প্রেমাস্পদদের সবথেকে বেশি ঠকিয়ে থাকে? এক্ষেত্রেও প্রথম স্থান পেয়েছে লন্ডন। সমীক্ষা বলছে লন্ডনবাসী যত বেশি রোমান্সে বিশ্বাসী, ঠিক ততটাই স্বচ্ছন্দ পরকিয়ায়। বটল ক্লাবের সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই শহরের যুবক-যুবতীরাই তাদের সঙ্গীদের সঙ্গে সবথেকে বেশি প্রতারণা করে। আর এই বিষয়ে পুরুষ-মহিলায় কোনও ভেদ নেই। মহিলারা স্বামী থাকতেও অন্য পুরষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়, আবার উল্টোটাও সমান তালে ঘটে থাকে। 


অবিশ্বস্ত শহরের তালিকার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইংল্যান্ডেরই আরও দুটি শহর - বার্মিংহাম (Birmingham) এবং  নটিংহাম (Nottingham)।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.