মুখের অবাঞ্ছিত লোম নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন, পার্লারের খরচ বাঁচিয়ে কাজে লাগান এই উপাদান

 


ODD বাংলা ডেস্ক: মুখের অবাঞ্ছিত লোম  দূর করতে, বিউটি পার্লারে কয়েক হাজার টাকা ব্যয় করেন অনেকেই, তার পদ্ধতিগুলি ত্বকের ফুসকুড়ি সহ মুখের ক্ষতি করতে পারে। জেনে নিন এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি যার সাহায্যে এই সমস্যাটি প্রাকৃতিকভাবে দূর করা যায়।

 

পুরুষদের মুখে চুল বা দাড়ি-গোঁফ থাকাটা সাধারণ ব্যাপার, কিন্তু একজন মেয়ে কখনোই তার মুখে অবাঞ্ছিত লোম দেখতে চান না। মুখের অবাঞ্ছিত লোম  দূর করতে, বিউটি পার্লারে কয়েক হাজার টাকা ব্যয় করেন অনেকেই, তার পদ্ধতিগুলি ত্বকের ফুসকুড়ি সহ মুখের ক্ষতি করতে পারে। জেনে নিন এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি যার সাহায্যে এই সমস্যাটি প্রাকৃতিকভাবে দূর করা যায়।


কিভাবে মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করবেন?

১) ওটস এবং কলা 

ওটস এবং কলার সাহায্যে আপনি মুখের অবাঞ্ছিত লোম থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর জন্য, ওটগুলিকে জলে রেখে ফুলিয়ে নিন এবং তারপরে তাতে কলা যোগ করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি মুখের যে অংশ থেকে চুল তুলতে চান সেখানে লাগান। কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

২) আখরোট এবং মধু 

আখরোট এবং মধু মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে অনেক সাহায্য করে। এ জন্য প্রথমে আখরোটের খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার এই খোসাগুলোকে একটি মিক্সার গ্রাইন্ডারে বা ওখলিতে ভালো করে পিষে তারপর এতে মধু যোগ করুন। এই পেস্টটি আঙুলে লাগিয়ে মুখে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন এবং কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৩) হলুদ এবং ঘৃতকুমারী 

হলুদ চুলের বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে এটি মুখের লোম দূর করার জন্য খুবই কার্যকরী প্রতিকার। এজন্য অ্যালোভেরা জেলে হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মুখের যেসব অংশে অবাঞ্ছিত লোম গজিয়েছে সেখানে লাগান। পেস্ট শুকিয়ে কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের বৃদ্ধি কমে যাবে।


এই জিনিসের যত্ন নিন

মনে রাখবেন সবার ত্বক এক রকম হয় না। যদি অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতার সমস্যা থাকে, তবে ঘরোয়া প্রতিকার নেওয়ার আগে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। পেস্টটি কখনই খুব দ্রুত ম্যাসাজ করবেন না, এটি ফুসকুড়ি হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। সবচেয়ে ভালো উপায় হল পেস্টটি মুখে হালকাভাবে ঘষে নেওয়া। এটি কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দেবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.