বিবাহ বিচ্ছেদের পর ঘুরতে গিয়েই প্রাণ হারাল পরিবারের সবাই
ODD বাংলা ডেস্ক: অশোক কুমার ও বৈভবী বান্দেকরের বিবাহ বিচ্ছেদের পর আদালতের নির্দেশ অনুসারে বছরে ১০ দিন পরিবারের সবাই একসঙ্গে কাটাতেন। এ বছর অশোক ও বৈভবী তাই সন্তানদের নিয়ে নেপালে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় পরিবারের চারজন একসঙ্গে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেলেন। রবিবারের ঘটনায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
গত রবিবার নেপালে ওই বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন ব্যবসায়ী অশোক কুমার ত্রিপাঠি (৫৪), তাঁর স্ত্রী বৈভবী বান্দেকর ত্রিপাঠি (৫১), ছেলে ধনুশ (২২) ও মেয়ে রিতিকা (১৫)। অশোক ত্রিপাঠি ওড়িশায় বাণিজ্যিক একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। আর বৈভবী ত্রিপাঠি মুম্বইয়ের বাণিজ্যিক একটি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
মুম্বইয়ের থানের কাপুরবাওদি পুলিশ স্টেশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল। তবে আদালতের নির্দেশ অনুসারে বছরে ১০ দিন পরিবারের সবাই একসঙ্গে কাটাতেন। তাঁরা বিমানে নেপালের পোখরা থেকে জমসন শহরে যাচ্ছিলেন। উড়ানের কিছুক্ষণ পরই ২২ আরোহী নিয়ে বিমানটি নিখোঁজ হয়। পরে ২২ জনেরই মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে।
ওই বিমানে ৪ জন ভারতীয় নাগরিক, ২ জন জার্মান ও ১৩ জন নেপালের যাত্রী ছিলেন। বিমানের ক্রুদের মধ্যে তিনজন ছিলেন নেপালের। মুম্বাইয়ের নিকটবর্তী শহরে থানের বালকুম এলাকায় রুস্তমজি অ্যাথেনা হাউজিং সোসাইটিতে বৈভবী বান্দেকর তাঁর সন্তানদের সঙ্গে থাকতেন। বৈভবী যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন, সেই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী বলেন, দুর্ঘটনায় সবাই শোকাহত।বৈভবী ত্রিপাথির মায়ের বয়স ৮০ বছর। তিনি অসুস্থ থাকায় দুর্ঘটনার বিষয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, নেপালে আবহাওয়ার বেশ ঘন ঘন পরিবর্তন হয়। বিমানবন্দরগুলো পাহাড়ি এলাকায়, যেগুলোতে ওঠানামা করা বেশ কঠিন। সেখানে বিমান দুর্ঘটনা কোনও নতুন ঘটনা নয়।
Post a Comment