খাবার নিয়ে অত্যাধিক সচেতনতা হতে পারে মানসিক রোগের কারণ, রইল ইটিং ডিসঅর্ডারের লক্ষণ

 


ODD বাংলা ডেস্ক: কেউ আগে-পিছে না ভাবে খাবার খান তো কেউ খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বড্ড খুঁতখুঁতে। একেই বলা হয় ইটিং অ্যাংজাইটি। এই সমস্যায় আজকাল অনেকেই ভুগছেন। খাবার নিয়ে সচেতন হতে গিয়ে মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষণা বলছে, খাবার নিয়ে অত্যাধিক খুঁতখুঁতে স্বাভাব এক সময় মানসিক রোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে। 


খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সকলেরই ভিন্ন মত। কেউ খাদ্য রসিক তো কেউ খাবার ব্যাপারে বেশি সচেতন। কেউ আগে-পিছে না ভাবে খাবার খান তো কেউ খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বড্ড খুঁতখুঁতে। একেই বলা হয় ইটিং অ্যাংজাইটি। এই সমস্যায় আজকাল অনেকেই ভুগছেন। খাবার নিয়ে সচেতন হতে গিয়ে মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষণা বলছে, খাবার নিয়ে অত্যাধিক খুঁতখুঁতে স্বাভাব এক সময় মানসিক রোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে। 


আর জেনে নিন এই রোগের লক্ষণ প্রসঙ্গে। এই কয়টি লক্ষণ দেখলে সতর্ক হন। ইটিং ডিসঅর্ডারের সমস্যা শুরুতেই সমাধান না করলে তা বড় আকার নিতে পারে। এমনকী, মানসিক রোগের কারণ হতে পারে। রইল এই রোগের লক্ষণ- 


কোনও অজুহাত তৈরি করে খাবার না খাওয়ার অভ্যেস অনেকের আছে। খিদে পেলেও খিদে চেপে রাখতে পছন্দ করেন। এমন লক্ষণ মোটেই স্বাভাবিক নয়।  


নিয়ন্ত্রিত খাবার খাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে অতিরিক্ত নজর দেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু, এই কাজ মাত্রাতিরিক্ত করা ঠিক নয়। খাবার নিয়ে আপনি যদি সারাক্ষণ উদ্বিগ্ন থাকেন কিংবা ভয় পান, তাহলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। 


অতিরিক্তি ব্যায়াম করাও কিন্তু এই রোগেরই লক্ষণ। স্বাভাবিক কার্যক্রম থেকে দূরে সরে থাকার মতো সমস্যা দেখা দেয় ইটিং ডিসঅর্জার হলে। 


সারাক্ষণ বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তা। কিংবা, কোনও খাবার খাওয়ার পর অনুতাপ প্রকাশ করা মোটেই স্বাভাবিক লক্ষণ নয়। এক্ষেত্রে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। 


ডাক্তারি মতে, খাওয়া নিয়ে অত্যাধিক সতর্কতা মানসিক রোগের কারণ হতে পারে। কোনও খাবার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, কোনটা নয়- তা অনেকেই ভেবে চলেন। আবার সামান্য খাবার এদিক ওদিক হলে ওজন বেড়ে গেল- এমন দুঃশ্চিন্তা করতে দেখা দেয় অনেককে। সেক্ষেত্রে ব্যক্তি ইটিং ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হতে পারেন। 


হয়তো একদিন তালিকা বহিঃভূত কোনও খাবার খেয়েছেন। তার পর থেকে কি সারাক্ষণ আয়নার সামনে দাঁড়িতে বোঝার চেষ্টা করছেন, এতে আপনার ওজন কতটা বৃদ্ধি হল। এমন লক্ষণ মোটেও স্বাভাবিক নয়। 


এছাড়া, সারাক্ষণ উদ্বেগ, চিন্তা কিংবা চেহারা নিয়ে মানসিক চাপ দেখা দিলে সতর্ক হন। ইটিং ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হলে ব্যক্তির মানসিকতায় বিস্তর পরিবর্তন দেখা দেয়। তাই এই রোগ বড় আকার নেওয়ার আগে প্রয়োজন সতর্কতা। সঠিক সময় চিকিৎসা শুরু করলে রোগ নিরাময় সম্ভব।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.