প্রথমবার শারীরিক সম্পর্কে যাচ্ছেন, আপনি প্রস্তুত তো?

ODD বাংলা ডেস্ক: প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে বা মেয়েদের প্রায় সবারই মনে প্রশ্ন আসে শারিরিক সম্পর্ক নিয়ে। কেউ প্রকাশ করে বন্ধু বান্ধবের কাছে আবার কেউ সেটা থেকেও বিরত থাকে জরতার কারনে। এই জরতায় তাকে অনেক ক্ষেত্রে মানুসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে ফেলতে পারে।

প্রথম ভালো লাগার দিনগুলোয় একটু বেশিই আলাদা হয়ে থাকে সব সময়ই। দিনে দিনে ঘনিষ্ঠতার মাত্রা বেশি, আকর্ষণের টান আরও তীব্র! এভাবে চলতে চলতে একসময় শরীরে ঢেউ ওঠাই স্বাভাবিক। আর এই প্রথম শারীরিক ঘনিষ্ঠতা নিয়ে দোলাচলে ভুগতে থাকেন অনেক মেয়ে।

একদিকে তীব্র ইচ্ছে, অন্যদিকে বহুদিন ধরে মনের মধ্যে পুষে রাখা সংস্কারের দ্বন্দ্বে মনস্থির করতে পারেন না তাঁরা। প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কটা বিছানা পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া উচিত হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তো থাকেই, পাশাপাশি মিশে থাকে কষ্ট পাওয়ার, প্রতারিত হওয়ার ভয়। এই সবক’টা ভয়ই ভীষণ সত্যি, ঠিক যেমন সত্যি ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে সমস্ত শারীরিক, মানসিক দূরত্ব ঘুচিয়ে দেওয়ার ইচ্ছেটা। তাই দ্বিধা, ভয়, সংশয়ে দিনের পর দিন না ভুগে নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করান। নিজের মন তলিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। সঙ্গে টুক করে দেখে নিন, মনস্তাত্ত্বিকরা কী বলছেন এ ব্যাপারে।

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন আপনি কি সত্যিই শারীরিক সম্পর্ক চান?

আপনার প্রেম যদি বেশ কিছুদিনের পুরোনো হয়, তবে আপনারা দু’জনেই তা পরের ধাপে নিয়ে যেতে চাইবেন, এটা খুব স্বাভাবিক। এ কথাও ঠিক, শারীরিক ঘনিষ্ঠতার পর সম্পর্কের ধরন অনেকটাই বদলে যায়। কাজেই আপনাদের সম্পর্কের ভিত মজবুত কিনা, আপনারা আদৌ পরস্পরের কমপ্যাটিবল কিনা, এ সব জল মাপতে শারীরিক সম্পর্কের সত্যিই একটা ভূমিকা আছে। তবে বান্ধবীরা তাঁদের প্রেমিকের সঙ্গে বিছানায় যাচ্ছেন বলে আপনাকেও সে পথে হাঁটতে হবে, এমন কিন্তু মোটেও নয়। নিজে নিশ্চিত হলে তবেই শারীরিক সম্পর্কে জড়ান, তার আগে নয়।

এই বিশেষ পুরুষটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে যেতে আপনি কি তৈরি?

নিজেকে একটা সোজা প্রশ্ন করুন। আপনার প্রেমিক আপনাকে স্পর্শ করলে আপনার কি ভালো লাগে? কারণ অনেক সময়ই আপনি হয়তো কাউকে পছন্দ করেন, তাঁর সঙ্গে সময় কাটাতেও ভালোবাসেন, কিন্তু শারীরিকভাবে তিনি আপনাকে টানেন না। মনস্তাত্ত্বিকেরা বলেন, যৌনতার ব্যাপারটা যতটা শারীরিক, ঠিক ততটাই মানসিক। কাজেই মনের দিক থেকে সাড়া না পেলে বিছানায় যাবেন না।

আপনি কি ওঁকে বিশ্বাস করেন?

যে কোনও সম্পর্কেই পারস্পরিক বিশ্বাসের ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি শুধু ফোন বা স্কাইপেই আপনাদের কথাবার্তা বা প্রেম হয়ে থাকে, তা হলে সেটাই কিন্তু সব নয়। এখন সাইবার অপরাধের বাড়বাড়ন্তের যুগে বারবার শিরোনামে উঠে আসছে ব্ল্যাকমেলিং বা রিভেঞ্জ পর্নের মতো ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ সব ঘটনার কেন্দ্রে থাকেন একটি অল্পবয়সী মেয়ে, যাঁর বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে এধরনের কাণ্ড ঘটান তাঁর পুরুষ সঙ্গী। তাই আপনার প্রেমিকের সঙ্গে যদি অনলাইনে আলাপ হয়ে থাকে, ব্যাকগ্রাউন্ড চেক অবশ্যই করবেন। আপনার পরিচিত এমন কাউকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন, যিনি ওঁকেও সাক্ষাতে চেনেন। মোদ্দা কথা, অন্ধের মতো বিশ্বাস নয় আর বিশ্বাস না থাকলে বিছানায় যাওয়ার প্রশ্নই নেই।

আপনার সময় ও স্থান নির্বাচন সঠিক তো?

শরীরী চাহিদা মেটানোর জন্য সবসময় এমন জায়গা বেছে নিন, যা আপনার পরিচিত এবং ঘটনার গতি প্রত্যাশামাফিক না এগোলে যেখান থেকে আপনি নিরাপদে চট করে বেরিয়ে আসতে পারবেন। কখনওই নির্জন পার্কিং লট বা হাইওয়ের ধারে ফাঁকা রাস্তায় শরীরী খেলায় মেতে উঠবেন না, নানারকম বিপদ হতে পারে।

আপনি সুরক্ষিত তো?

বারবার শুনে ক্লিশে হয়ে গেলেও মনে রাখা দরকার অসুরক্ষিত যৌনতা আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। সঙ্গীকে কন্ডোম ব্যবহার করতে বলুন। অসুরক্ষিত সম্পর্কের কারণে শুধু অপরিকল্পিত গর্ভসঞ্চারই নয়, নানা যৌন রোগেরও সংক্রমণ ঘটতে পারে।

সম্পর্ক না টিকলে তা মেনে নিতে পারবেন তো?

শারীরিক সম্পর্ক হওয়ার পরেও সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। নিজেকে বারবার জিজ্ঞেস করুন, সম্পর্ক না টিকলে আপনি মেনে নিতে পারবেন তো? উত্তর যদি ‘না’ হয়, তা হলে সময় নিন।

আপনি অপরাধবোধে ভুগবেন না তো?

দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন মানে যা ঘটছে তা দু’জনের সম্মতিসাপেক্ষেই ঘটছে। যদি মনে হয়, আপনার দুর্বলতাকে হাতিয়ার করে আপনার সঙ্গী আপনাকে বিছানায় টেনে নিয়ে যেতে চাইছেন, বা প্রাকবৈবাহিক শারীরিক সম্পর্ককে আপনি যদি অপরাধ বা অনৈতিক মনে করেন, তা হলে ভুলেও পুরুষটির ধারেকাছে ঘেঁষার চেষ্টা করবেন না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.