স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন ৬০০ মুসলিম!


ODD বাংলা ডেস্ক: স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন গুজরাটের পোরবন্দরের অন্তত ৬০০ মৎস্যজীবী। পোরবন্দরের গোসাবারা জলাভূমির মৎস্যজীবীদের নেতা আল্লারাখা ইসমাইল ভাই থিম্মার গুজরাট হাই কোর্টে গত বৃহস্পতিবার আবেদন করেছেন, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা দিনে দিনে চরম আকার ধারণ করেছে। সেখানকার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, জীবনধারণ করাটাই দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সে কারণে তিনি এবং তার সঙ্গে ৬০০ জনকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়ার আবেদন করেছেন আদালতে। হাইকোর্টে একই আবেদন জানানো হয়েছে গোসাবারা মুসলিম ফিশারমেন্স সোসাইটির পক্ষ থেকেও। ওই সংগঠনের অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীরা সরকারের বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। ওই সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীদের কোনো রকম সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। নানাভাবে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে।

আবেদনে আরো জানানো হয়েছে, ওই সম্প্রদায়টি রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার। বিভিন্নভাবে স্থানীয় প্রশাসন তাদের হেনস্থা করেছে। এলাকার ১০০টি পরিবারের ৬০০ লোক মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। মাছ ধরার জন্য তাদের মৎস্য দপ্তরের অনুমতিপত্রও রয়েছে। তার পরেও গোসাবারা এবং নভি বন্দরে তাদের নোঙর করতে দেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।  

২০১৬ সাল থেকে তাদের এ ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে আদালতে অভিযোগ জানিয়েছে পোরবন্দরের ওই মুসলিম মৎস্যজীবীরা। আবেদনকারী মৎস্যজীবীদের আইনজীবী ধর্মেশ গুর্জার বলেন, ২০১৬ সাল থেকে গোসাবারা বন্দরে মুসলিম মৎস্যজীবীদের নৌকা চলাচল বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। অনুমতিপত্রেরও তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।

মৎস্যজীবীদের নেতা আল্লারাখা ইসমাইল ভাই থিম্মার অভিযোগ করেছেন, হিন্দু মৎস্যজীবীদের সরকার সব রকম সুবিধা দিচ্ছে, অথচ তাদের দিকে কেউ ফিরেও তাকাচ্ছে না। মুসলিম মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, বার বার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হলেও কোনো লাভ হয়নি। অথচ তারা বেআইনি কাজকর্মের সঙ্গে কোনো ভাবেই জড়িত নন। বরং পাকিস্তানের মদদপুষ্ট দুষ্কৃতিদের গতিবিধি সম্পর্কে নিরাপত্তা বাহিনীকে সবসময় অবহিত করেন এবং সহযোগিতা করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.