হার্টবিট গুণে যেভাবে বুঝবেন আপনি সুস্থ কি না

ODD বাংলা ডেস্ক: শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো হার্ট বা হৃদযন্ত্র। অনিয়মিত জীবন যাপন হৃদযন্ত্রের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। যে কারণে হৃদরোগে ভুগতে হয় অনেকের।

রক্তকে পাম্প করে হৃৎপিণ্ড।আর পাম্প করে বলেই শরীরের প্রতিটি অংশে পৌঁছে যায় রক্ত।শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মতো হার্টের শ্রিাম নেই। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই অঙ্গ কাজ করে চলে অবিরাম।তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি মানুষেরই  হার্টের যত্ন নেওয়া উচিত। বেশি পরিশ্রম করলে তখন হার্ট দ্রুত পাম্প করে। কারণ এ সময় শরীরে বেশি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।

অন্যদিকে কম পরিশ্রম হলে বা বিশ্রামে থাকলে হার্ট কম অক্সিজেন পাম্প করে কারণ তখন অতিরিক্ত অক্সিজেন প্রয়োজন হয় না।

হার্টবিট গুনেই কিভাবে বুঝবেন শরীরের সুস্থতা?

* যদি কখনো টের পান বিশ্রামে থাকা স্বত্ত্বেও আপনার হার্ট দ্রুত পাম্প করছে বা হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে তাহলে সাবধান থাকুন। এ সমস্যা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের দিকে ইঙ্গিত করে।

* বিশ্রাম নেওয়ার সময় হৃদস্পন্দন কম হয়। এ কারণে একে রেস্টিং হার্ট রেট বা বিশ্রামকৃত হৃদস্পন্দন বলে।  চিকিৎসকদের মতে, এই রেস্টিং হার্ট রেট থেকেই শরীর সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যায়। মানুষের স্বাভাবিক রেস্টিং হার্ট রেট প্রতি মিনিটে ৬০-১০০।

* রেস্টিং হার্ট রেট ৬০ এর নীচে থাকলে ওই ব্যক্তিকে সুস্থ বলে ধরা হয়। এই রেট ৫০ এর দিকে হলেও সচেতন হতে হবে।

* তবে রেস্টিং হার্ট ১০০ এর বেশি রেট হলে ধরে নিতে হবে ওই ব্য়ক্তি অসুস্থ। এর পাশাপাশি দুশ্চিন্তা থেকে শুরু করে বেশি মাত্রায় কফি খেলেও হতে পারে এই সমস্যা।

* চিকিৎসকরা বলছেন,  হার্ট রেট ৫০ এর নীচে চলে যাওয়া ও মাথা ব্যথা থাকলে বুঝতে হবে হার্টের ইলেকট্রিক প্যাথওয়েতে সমস্য়া দেখা দিচ্ছে। এই অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

* বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রেস্টিং হার্ট রেট ১০০ বা তার বেশি হলে শরীরে কোনো ইনফেকশন বা অ্যারিদমিয়ার মতো হার্টের রোগের ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। পুরুষের শরীরে এই রেস্টিং হার্ট রেট বেশি থাকলে মৃত্যুঝুঁকি থাকে বেশি। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকা একান্ত জরুরী।

*  সাধারণত যারা খেলাধুলা করেন বা ভারী কাজকর্ম ও শরীরচর্চা করেন তাদের হার্ট যখন নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় স্পন্দিত হয়। তখন তাকে অ্যারোবিক ক্যাপাসিটি বলা হয়।

* হার্টের অ্যারোবিক ক্যাপাসিটি থাকা ভালো। এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক বা অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি তুলনামূলক অনেক কম থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.