বাবা ছিলেন বাস কন্ডাক্টর, নিজের লক্ষ্যে কীভাবে অবিচল থাকলেন KGF-এর 'রকি'
বিনোদন জগতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না যশের পরিবারের। মাইসোরের হাসানে একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্ম হয় তাঁর, বাবা ছিলেন বাস কন্ডাক্টর। কিন্তু যশের চোখে ছিল স্বপ্ন। একদিন বড় কিছু হবেন। অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন ছোটবেলা থেকেই যশের ছিল। ছোটখাট চরিত্রে অভিনয় করতেন। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁকে ‘হিরো’ বলেই ডাকতেন। তিনি সবসময়ই বলতেন, বড় হয়ে ‘সুপার স্টার’ হবেন। তখন সবাই হাসত। কিন্তু ছোট্ট যশের বিশ্বাস ছিল, একদিন না একদিন তিনি নিজের স্বপ্ন পূরণ করবেন।
পরবর্তীতে যশ বলেন, ‘অভিনেতা হলে সবার নজরকাড়া যায়। এটা খুব ভালো লাগত, সিনেমা হলে বসে সিটি বাজাতে খুব ভালো লাগত। যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতায় নাম দিতাম, নাচতাম। খুব আনন্দ হত। এভাবেই শুরু। আর ধীরে ধীরে আজ এই জায়গায়।’
ক্লাস টেন থেকেই অভিনয় শুরু করেন যশ। বয়স যত বাড়তে থাকে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হতে থাকেন তিনি। কিন্তু আর্থিকভাবে সচ্ছ্বল না থাকার কারণে স্বপ্ন পূরণে নানা বাধার মুখে পড়েন। পরিবারের পক্ষ থেকেও বাধা এসেছিল। বাবা-মা ভেবেছিলেন, সিনেমার জগৎ ভালো নয়। কিন্তু অভিনেতা হওয়ার প্রচণ্ড ইচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন যশ। মাত্র ৩০০ টাকা আর চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে ঘর ছাড়েন। একটি থিয়েটার গ্রুপে যোগ দিয়ে ব্যাক স্টেজের কাজ শুরু করেন।
এরপর অশোক কাশ্যপের ‘নন্দগোকুলা’ টিভি ধারাবাহিকে অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন যশ। ২০০৮ সালে ‘মোগিনা মানাসু’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। এরপর ‘গুগলি’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস রামাচারি’, ‘মাস্টারপিস’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন যশ। আজ তাঁকে এক নামে চেনে গোটা দেশ।
Post a Comment