প্রতি শুক্রবার কেন সন্তোষী মায়ের ব্রত করা উচিত, রইল দেবীর ব্রতকথা
ODD বাংলা ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম অনুসারে সপ্তাহের সাত দিন কোনও না কোনো দেবতার নামে উত্সর্গীকৃত। তেমনই শুক্রবার দিনটি সন্তোষী মায়ের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। শুক্রবার সন্তোষী মায়ের ব্রত পালন করুন। সন্তোষী মায়ের ব্রত পালন করলে জীবনের অনেক দুখ কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে ভক্তদের বিশ্বাস।
সন্তোষী মায়ের ব্রত টানা ১৬টি শুক্রবার ধরে করতে হয় এবং শেষ শুক্রবার ব্রত উদযাপন করার জন্য আটটি ছেলেকে খাওয়ানোর প্রথা রয়েছে। সন্তোষী মায়ের ব্রত পালন করার জন্য শুক্রবার সন্তোষী মায়ের কথা পাঠ করতে হয়। সন্তোষ কথাটি থেকে এসেছে সন্তোষী কথাটি। সন্তুষ্টি প্রদানের দেবী হলেন সন্তোষী। অন্যান্য ব্রতকথার মত সন্তোষী মায়ের ব্রতকথা কোনও প্রাচীন শাস্ত্রে পাওয়া যায় না। তাই মনে করা তুলনামূলক পরবর্তী কালে এই ব্রতকথার সৃষ্টি।
সন্তোষী মায়ের ব্রতকথা
কথিত আছে, এর মহিলার ওপরে তাঁর শাশুড়ি মা নানা ভাবে অত্যাচার করতেন। শাশুড়ি মায়ের সব রকম অত্যাচার ও খারাপ ব্যবহার মুখ বুজে সহ্য করতেন ওই মহিলা। কারণ তিনি তাঁর স্বামীকে খুবই ভালোবাসতেন। কিছুদিন পরে ওই মহিলার স্বামীকে কর্মসূত্রে অন্যত্র যেতে হয়। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে ওই মহিলার শাশুড়ি পুত্রবধূর ওপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই মহিলা একটি মন্দিরে যান, সেখানে তিনি সন্তোষী মায়ের ব্রতকথার বিষয়ে জানতে পারেন। এরপরই তিনি পরপর ১৬টি শুক্রবার ধরে উপবাস রেখে সন্তোষী মায়ের ব্রত পালনের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম শুক্রবার ব্রত রাখার পরেই তিনি শাশুড়ি মায়ের ব্যবহারে পরিবর্তন টের পান। তাঁর স্বামীও বিদেশ থেকে তাঁকে চিঠি ও টাকা পাঠান।
এক একটা করে শুক্রবার সন্তোষী মায়ের ব্রত পালন করে কাটাতে থাকেন তিনি, আর তাঁর জীবনেও পরিবর্তন আসতে থাকে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর স্বামীর উপার্জন অনেকটাই বেড়ে যায়। তাঁদের বেশ কিছু টাকা সঞ্চয়ও হয়ে যায়। স্বামী ফিরে আসার পর ১৬টি শুক্রবার সম্পূর্ণ হলে উদ্যাপনের মাধ্যমে ব্রত উদযাপনের আয়োজন করেন ওই মহিলা। কিন্তু তাঁর শাশুড়ি মোটেও চাননি যে তিনি সফল ভাবে সন্তোষী মায়ের ব্রত উদযাপন করতে পারেন। সেই কারণে যে আটটি ছেলেকে তিনি খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করেছিলেন, তাঁদের তিনি টক খাবার খাইয়ে দেন। সন্তোষী মায়ের ব্রত উদযাপন টক খাবার খাওয়ানো একেবারেই বারণ।
সন্তোষী মায়ের ব্রত সঠিক ভাবে উদযাপন করতে না পারায় ওই মহিলার স্বামীর বড় ক্ষতি হয়ে যায়। কিন্তু এরপর তিনি ব্রত উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেন। এবার কোনও রকম সমস্যা ছাড়াই নিষ্ঠাভরে ব্রত উদযাপন করতে পারেন তিনি। ওই মহিলার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে আশীর্বাদ করেন সন্তোষী মা। নিজের ভুল বুঝতে পেরে সন্তোষী মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে নেন তাঁর শাশুড়ি মা।
Post a Comment