অভিনব উদ্যোগ, এই রাজ্যে নিষিদ্ধ হচ্ছে বিধবা-প্রথা


ODD বাংলা ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিধবা প্রথা নিষিদ্ধে করার বিষয়ে  আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী হাসান মুশরিফ। এ প্রসঙ্গে তিনি কোলাপুরের হেরওয়াড় গ্রামের উদাহরণ দিয়েছেন।  

এনিয়ে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরে একটি নোটিশ জারি করা হয়। তারপর দপ্তরের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়।এই নোটিশ কার্যকর করার জন্য জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যকরী অফিসারকে (সিইও) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও সার্কুলার অমান্য করলে এখনই কোনও শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়নি।  

তবে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই কাজে সিইও-কে সাহায্য করবেন তাঁর অধীনস্থ সবগুলো গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মকর্তা। মন্ত্রি মুশরিফ বলেছেন, কোলাপুরের হেরওয়াড় গ্রাম পঞ্চায়েত বৈধব্য প্রথায় নিষেধাজ্ঞার জন্য একটি নিয়ম পাস করেছে। সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত অন্যদেরও।  

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিজ্ঞানের যুগে এ ধরনের প্রথার কোনো স্থান নেই। প্রসঙ্গত, হেরওয়াড় গ্রাম পঞ্চায়েতে গত  মে এই প্রস্তাব পাস হয়। তাতে বলা হয়, স্বামীর মৃত্যুর পরে নারীদের সিঁদুর মুছে ফেলা, মঙ্গলসূত্র খুলে রাখতে বাধ্য করানোর বিরোধিতা করা হচ্ছে। হেরওয়াড়ের দেখাদেখি কোলাপুরের আরেক গ্রাম মনগাঁও-তেও একই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

হেরওয়াড় গ্রামের সরপঞ্চ সুরগোন্ডা পাটিল জানান, স্বামীর মৃত্যুর পরে নারীদের যে প্রথা অনুসরণ করতে বাধ্য করা হয়, তা যথেষ্ট অপমানজনক। তারপরই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিধবা প্রথার নিষ্ঠুরতা ছুঁয়ে গিয়েছিল সরপঞ্চকেও।  

তিনি বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ে তাঁর এক বন্ধু মারা যান। তার শেষকৃত্যের সময়ে তিনি দেখেন যে, কীভাবে তাঁর স্ত্রীকে চুড়ি ভাঙতে, সিঁদুর মুছতে এবং মঙ্গলসূত্র খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে প্রিয়জন হারানো মহিলাদের দুঃখ আরো বেড়ে যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.