দুর্গাপুজোকে ইউনেসকোর স্বীকৃতির অনুষ্ঠান: আমন্ত্রণ না পেয়ে ক্ষুব্ধ মমতা
ODD বাংলা ডেস্ক: ইউনেসকোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে কলকাতার দুর্গাপূজার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষুব্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শুক্রবার সন্ধ্যায় এ অনুষ্ঠান হচ্ছে কলকাতায়। সেখানে প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজাকে ইউনেসকো গত বছর বিশ্বের একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দেয়। সেই স্বীকৃতির জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন বিভাগ আজ সন্ধ্যায় কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এই অনুষ্ঠানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নৃত্য পরিবেশন করার কথা। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের কোনো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষুব্ধ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পেছনে রয়েছে কলকাতার বিভিন্ন ক্লাব ও পূজা কমিটি। বাংলার কোটি কোটি মানুষের অবদান আছে এতে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাকে এত দুর্বল ভাবার কারণ নেই। ১০ বছর ধরে এই কলকাতার দুর্গাপূজাকে আমরা প্রোমোট করতে করতে ইউনেসকো থেকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেলাম। এতে অন্য কারও আবদান নেই।’ মমতার এই ক্ষোভ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘কোনো রাজ্যের সুপারিশে ইউনেসকো এভাবে স্বীকৃতি দেয় না। ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দুর্গাপূজাকে হেরিটেজ ঘোষণা করার জন্য আবেদন করেছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ইউনেসকো এই ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে কলকাতার দুর্গাপূজাকে। এতে ওনার ক্রেডিট নেওয়ার কিছু নেই।’
শুভেন্দু মমতাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘উনি সব সময় ভাবেন পশ্চিমবঙ্গ একটি আলাদা রাষ্ট্র আর সেই রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী তিনি। এই জন্যই বাংলাদেশের জয়বাংলা স্লোগান তিনি বলেন। কিন্তু ওনার জেনে রাখা উচিত ইউনেসকো বা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সরাসরি লিখতে পারেন না তিনি। এটা পররাষ্ট্র নীতির পরিপন্থী।’ nesco-durga-puja-artists-durga-puja-committees-are-also-not-invited-at-centres-cultural-event
Post a Comment