মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: কেন মাথা ব্যথা হয়? এর সঠিক উত্তর দেওয়া কষ্টকর। মাথা ব্যথাকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। প্রাইমারি হেডেক ও সেকেন্ডারি হেডেক। প্রাইমারি হেডেকের কোনো কারণ পাওয়া যায় না।


এ ধরনের মাথা ব্যথা খুব বেশি ক্ষতিকর নয়। আমাদের সৌভাগ্য যে আমাদের যত মাথা ব্যথা হয় তার বেশির ভাগই প্রাইমারি হেডেক। সেকেন্ডারি হেডেকের বেশ কিছু কারণ থাকে। এ কারণগুলো কিন্তু মারাত্মক হয় যেমন—মস্তিষ্কের টিউমার, মস্তিষ্কের ইনফেকশন, স্ট্রোক, দাঁতের সমস্যা, সাইনাসের সমস্যা ইত্যাদি। প্রাইমারি হেডেকের মধ্যে অন্যতম হলো মাইগ্রেন। প্রাইমারি হেডেকের প্রায় ১৫ শতাংশ মাইগ্রেন। আগেই বলেছি এর কারণ অজানা।

লক্ষণ


♦ মাথার এক পাশে ব্যথা শুরু হয়


♦ মাথা ব্যথা অন্য পাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বা পুরো মাথায় হতে পারে


♦ তীব্র ব্যথা হয়


♦ ব্যথার ধরন অনেকটা মাথায় বিদ্যুৎ চমকানোর মতো


♦ এর স্থায়িত্ব চার থেকে ৭২ ঘণ্টা


♦ মাথা ব্যথার সঙ্গে বমি হতে পারে বা অতিরিক্ত বমি বমি ভাব হতে পারে


♦ শব্দ শুনলে বা আলোতে মাথা ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায়


করণীয়


সাধারণত পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে না। তবে মাথা ব্যথার ধরন যদি পরিবর্তিত হয়ে যায়, বেশি বয়সে মাথা ব্যথা হয়, খুব তীব্র মাথা ব্যথা হয়, এর সঙ্গে বারবার বমি হয়, চোখে দেখতে সমস্যা হয় বা একটা জিনিস দুটি দেখা যায় বা কথা বলার সমস্যা, খিঁচুনি দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই সিটিস্ক্যান বা এমআরআই পরীক্ষা করতে হবে। মাইগ্রেনের চিকিৎসা বেশ সহজলভ্য, কিন্তু সমস্যা হলো দীর্ঘদিন ওষুধ সেবন করতে হয়। অনেকে বলেন, মাইগ্রেনের চিকিৎসা নেই। এটা ভুল ধারণা। আক্রান্ত ব্যক্তি ওষুধ সেবন করলে সুস্থ হয়ে যান; ফলে কিছুদিন পর ওষুধ সেবন বন্ধ করে দেন। ওষুধ বন্ধ করায় আবার দেখা দেয় মাথা ব্যথা। একজন নিউরোলজিস্টের তত্ত্বাবধায়নে ধৈর্য ধরে ওষুধ সেবন করলে মাইগ্রেন থেকে মুক্তি মেলে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.