জলের অভাব ছাড়া আর কোন কোন কারণে পেশিতে টান লাগতে পারে? কী করণীয়
ODD বাংলা ডেস্ক: ঘুমের মধ্যে কিংবা হঠাৎ হাঁটতে গিয়ে পায়ের পেশিতে টান, কখনও আবার আড়মোড়া ভাঙতে গিয়ে হঠাৎই পেশি শক্ত হয়ে গিয়ে টান ধরা— এমন সমস্যার মুখোমুখি কমবেশি সকলেই হন। চিকিৎসকদের মতে, টোকোফেরল, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ-র অভাব, পটাশিয়ামের স্বল্পতা পেশিতে টান ধরার কারণ হতে পারে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে বেড়ে ওঠার সময়ও এমন লক্ষণ দেখা যায়। কোনও কোনও শিশুর হাড়ের বৃদ্ধির সঙ্গে পেশির বৃদ্ধি সমতা বজায় রাখতে পারে না। তখনই পেশিতে টান ধরে।
শরীরের ঐচ্ছিক পেশির সহায়তায় আমরা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া করে বিভিন্ন কাজ করে থাকি। এই পেশিগুলি সাধারণত সঙ্কুচিত বা প্রসারিত হয়। কখনও কখনও পেশিগুলি দীর্ঘ সময় সঙ্কুচিত হয়ে থাকে, প্রসারিত হতে পারে না। এই কারণেই পেশিতে টান ধরে। যাঁরা ক্রনিক কোনও রোগে ভুগছেন বা যাঁদের চোট-আঘাতজনিত সমস্যা আছে, তাঁদের পেশিতে টান লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু যাঁদের এই সমস্যা নেই তাঁদেরও কিছু কারণে লাগতে পারে পেশিতে টান।
ঠিক কী কী কারণে পেশিতে টান ধরতে পারে?
১) পেশির মধ্যে যদি ল্যাক্টিক অ্যাসিড অধিক মাত্রায় জমা হয় তাহলে তা পেশিকে সঙ্কুচিত করে রাখে, প্রসারিত হতে দেয় না। ফলে টান ধরে পেশিতে।
২) আমাদের শরীরের ৯০ শতাংশই জল। শরীরে তরলের পরিমাণ যখন সঠিক থাকে অঙ্গগুলিও ঠিক মতো কাজ করে। জলের ভারসাম্য নষ্ট হলেই পেশিতে সঙ্কোচন দেখা যায়।
৩) সুস্থ থাকার জন্য যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো বিভিন্ন খনিজ পদার্থের প্রয়োজন, তেমনই বি-৬, বি-১২, সি-র মতো বিভিন্ন ভিটামিনের চাহিদা রয়েছে শরীরে। শারীরবৃত্তীয় কারণে যদি শরীরে ভিটামিন বা মিনারেলের তারতম্য হয় তবে পেশিতে টান লাগতে পারে।
কী উপায় এড়ানো যাবে এই সমস্যা?
১) শরীরে জলের ঘাটতি হলে চলবে না। বিশেষ করে গরমকালে যেন পর্যাপ্ত মাত্রায় জল খাওয়া হয় সে দিকে নজর রাখতে হবে।
২) এক নাগাড়ে কাজ না করে মাঝে মধ্যে সাময়িক বিরতি নিতে হবে। অনেক সময়ে শরীরচর্চা করতে গিয়ে পেশিতে টান ধরে। এমনটা হলে ব্যথা কমলে শরীরচর্চায় ফিরুন। তবে ব্যায়াম বন্ধ করে দেবেন না।
৩) ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে। খাদ্যতালিকায় রাখুন কলা, আমন্ড, দুগ্ধজাত দ্রব্য, গাজর, বিনস ইত্যাদি। ভিটামিন এ, ডি এবং ই, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার পেশীর টান কমায়।
৪) গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলার শরীরে খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে বার বার পেশিতে টান ধরে। এমনটা প্রায়ই ঘটলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Post a Comment