হাটার ধরন দেখেই মানুষ চেনা যাবে? কি ভেবে অবাক হচ্ছেন তো?

ODD বাংলা ডেস্ক: মানুষ চেনার অনেক উপায় আছে। উপায়গুলো কতটা ঠিক বা আদৌ ঠিক কি না সে নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। সেই তর্কে না গিয়ে বরং চলুন জেনে নিই, মনোবিদরা কী বলছেন?
পদ্ধতি জানা থাকলে আপনার পক্ষেও সম্ভব, হাঁটা দেখে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যির বিচার করা। 

অনেকে দ্রুত চলতে খুবই পছন্দ করেন। এই ব্যক্তিরা অন্যের কথায় বা বিষয়ে সহজে প্রভাবিত হন না। এরা একটু আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকেন। তবে তাদের কর্তব্য জ্ঞান প্রখর হয়।

ধীর গতিতে কিন্তু ছন্দসহ হাঁটলে ধরেই নিতে হবে, ওই ব্যাক্তি এমন কিছু করতে চান তা অন্যের চিন্তাধারা থেকে অনেকটা আলাদা।

যারা মাটি ঘষে ঘষে হাঁটেন, তারা কাউকে সহজে বিশ্বাস করতে চান না, সবাইকে যাচাই করে নিতে চান। এরা সবাইকে বাজিয়ে দেখেন।

যারা ধীরে কিন্তু সচেতন পদক্ষেপে হাঁটেন, তারা অতি চালাক। তারা সহজে কাউকে চটাতে পছন্দ করেন না। মিষ্টি কথায় সবার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে কাজ আদায় করতে চান তারা।

অনেকের হাঁটায় কিছুটা অসামঞ্জস্যতা থাকে। এমন ব্যক্তিরা সব কিছুতেই খানিক অসচেনত হন। তবে তারা নিজের বিষয়ে বা নিজের কাজ খুব ভালভাবে বুঝে নিতে পারেন। এরা অন্যের বিষয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে চান না।

যারা পায়ের পাতা দুই পাশে ছড়িয়ে হাঁটে তারা ঝুঁকি নিতে খুবই পছন্দ করে। এরা খুবই বিচক্ষণ প্রকৃতির হয়। কোনও কাজ করব মনে করলে যে কোনও প্রকারে তা করে থাকেন। এরা খুব স্বাধীনতা প্রিয়ও হন।

আত্মবিশ্বাসের অভাব হলে অনেকে সামনের দিকে ঝুঁকে হাঁটেন। মানসিক চাপে থাকলে তারও প্রভাব পড়ে হাঁটায়। এই সব মানুষ নিজেকে ঢেকে রাখা কিংবা লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। তার ফলেই হাঁটার ধরন এমন হয়ে যায়।

যারা মাথা উঁচু করে হাটেন এই সব মানুষ প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী হন। কখনও কখনও আত্মবিশ্বাসটি  মাত্রাছাড়াও হয়ে যেতে পারে। এই মানুষগুলো সবসময় জিততে ভালোবাসেন।

মনোবিদদের মত, হাঁটা দেখে ব্যক্তিত্বের অনেকখানি টের পাওয়া গেলেও, এর ব্যতিক্রমও হতে পারে। শুধু ব্যক্তিত্ব বা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নয়, নানা অসুখ বা শারীরিক সমস্যার কারণেও হাঁটার ধরন বদলে যেতে পারে। তেমন কোনও বদল হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.