শপিং মলের শৌচালয় ব্যবহার করেন? সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কোন অভ্যাসে বদল আনবেন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: কোভিডের আতঙ্ক সামলে সাধারণের জনজীবন আবার ছন্দ ফিরেছে। বাড়ি থেকে কাজের পালা খানিকটা হলেও থমকে গিয়েছে। বেশির ভাগকেই নিয়মিত অফিস যেতে হচ্ছে। তবে এই সময়ে বাড়ির বাইরে বেরোলে যে বিষয়গুলি নিয়ে বেশি মাত্রায় সচেতন থাকা প্রয়োজন, তার মধ্যে অন্যতম হল শৌচাগারের ব্যবহার। রাস্তার শৌচালয়, শপিং মল, কিংবা অফিসের আপাত ভাবে পরিষ্কার বাথরুমও ব্যবহারের সময় একটু বাড়তি সতর্কতা নিতেই হবে। নইলে কিন্তু জীবাণু সংক্রমণের ভয় থেকেই যায়। শরীরে বাসা বাঁধতে পারে একাধিক রোগ-ব্যাধি। দীর্ঘ ক্ষণ বাড়ির বাইরে থাকলে শৌচাগার ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নেই। তা হলে কী করণীয়?


বাড়ির বাইরের শৌচাগার ব্যবহার করার কয়েকটি নিয়ম কিন্তু মানতেই হবে।


১) সাধারণ শৌচাগারে খুব বেশি সময় না কাটানোই ভাল। যত ক্ষণ আপনি শৌচাগারে ব্যয় করবেন ততই বাড়বে সংক্রমণের ঝুঁকি। অনেকের অভ্যাস শৌচাগারে গেলেই হাতে ফোন নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটানো। এমন অভ্যাসে বদল আনা জরুরি।


২) সাধারণ শৌচাগার ব্যবহার করে অনেকের হাত ধোয়ার অভ্যাস নেই। এই অভ্যাস কিন্তু মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। শৌচাগার থেকে বেরিয়ে এসে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে ভুললে চলবে না। খুব ভাল হয় যদি আপনি হাত ধোয়ার পর স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। হাত থেকেও কিন্তু সংক্রমণ ছড়াতে পারে।


৩) বাইরে বেরোনোর সময় অবশ্যই জীবাণুনাশক স্প্রে নিজের সঙ্গে রাখুন। শৌচাগারে প্রবেশ করে কমোড ব্যবহারের আগে জীবাণুনাশক স্প্রে ছড়িয়ে ফ্লাশ করে তার পর ব্যবহার করুন। মূত্রাশয়ের সংক্রমণ ঠেকাতে চাইলে এই নিয়ম কিন্তু মানতেই হবে।


৪) শৌচালয়ে গিয়ে কল চালাতে, দরজার হাতল ধরতে হলে কিংবা ফ্লাশ ব্যবহারের সময় টিস্যু কাগজ ব্যবহার করতে পারেন। গ্লাভস ব্যবহার করতে পারলে আরও ভাল। খালি হাতে এই জায়গাগুলি স্পর্শ করলে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.