কুতুব মিনারে কি পূজার্চনা করা যাবে? কী বলছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া


ODD বাংলা ডেস্ক: কুতুব মিনার একটি ঐতিহাসিক সৌধ। এখানে পুজার্চনা করা যাবে না। মঙ্গলবার আদালতে সাফ জানাল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। এদিন একটি দলিল পেশ করে ASI- বলে, কুতুব মিনারের পরিচয় রাতারাতি বদলে দেওয়া সম্ভব নয়। ১৯১৪ সালে এই সৌধটি হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। এখানে কখনও পুজোপাঠ হয়নি। যদিও মন্দির ভেঙেই কুতুব মিনার তৈরি করা হয়েছিল বলে স্বীকার করেছে ASI। তবে তাদের বক্তব্য, যেহেতু এখানে কোনওদিন পুজোপাঠ করা হয়নি, অতএব নতুন করে আর এখানে পুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না।

একইসঙ্গে এদিন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফে বলা হয়েছে, দিল্লির কুতুব মিনার অনেক ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব বহন করছে। ১৯৫৮ সালের প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব অনুযায়ী, এই সৌধে শুধুমাত্র পর্যটনের অনুমতি রয়েছে। কোনও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান কিংবা পুজার্চনার অনুমতি নেই। পাশাপাশি এও উল্লেখ করা হয়, যতদিন পর্যন্ত এই কুতুব মিনার ASI-এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে, ততদিন পর্যন্ত এখানে কোনওভাবেই পুজোর অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।

কুতুব মিনার নিয়ে মামলা দায়ের করে হরিশংকর জৈন জানিয়েছিলেন, ''কুতুব মিনারে প্রায় ২৭টির বেশি মন্দির ছিল। যার একশোর বেশি ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যা কখনই অস্বীকার করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। হরিশংকর জৈনের দাবি ছিল, ASI-এর বই থেকে এই ধ্বংসাবশেষের প্রমাণ পেয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বিতর্কের আবহে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) প্রাক্তন আঞ্চলিক অধিকর্তা ধরমবীর শর্মা দাবি করেছিলেন, কুতুবুদ্দিন আইবক নন, কুতুব মিনার আদতে বানিয়েছেন রাজা বিক্রমাদিত্য। তিনি বলেন, ''এটা আসলে কুতুব মিনার নয়, সূর্য টাওয়ার। পঞ্চম শতকে রাজা বিক্রমাদিত্য এটি তৈরি করেছিলেন। এই নিয়ে আমার কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।'' 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.