হৃদয়ে লেখো নাম....
ODD বাংলা ডেস্ক: আজ ভারতীয় সঙ্গীত জগতের প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পী প্রয়াত মান্না দের ১০২ তম জন্মদিন। ১৯২০ সালের পয়লা মে মান্না দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন উত্তর কলকাতার ৯ মদন ঘোষ লেনের বাড়িতে। কবির সুমন মান্না দে সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে বলেছিলেন , 'মান্না দে সঙ্গীতের একটা সভ্যতা'। সত্যিই তাই।প্রায় সাত দশকের সঙ্গীতজীবনে মান্না দে বাংলা ছাড়াও বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার গান গেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে অসংখ্য সিনেমার গান, সেরকম আছে ধ্রুপদী সঙ্গীত, আধুনিক গান, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি।
মান্না দে'র প্রকৃত নাম প্রবোধ চন্দ্র দে।মান্না দে'র গান শেখা শুরু তাঁর কাকা - ১৯২০ ও ৩০-এর দশকের বিখ্যাত গায়ক কৃষ্ণচন্দ্র দে'র কাছে। কৃষ্ণচন্দ্র দে ছিলেন অন্ধ এবং ভ্রাতুষ্পুত্র মান্না দে ছিলেন তাঁর শিষ্য, সহকারী। কাকা কৃষ্ণচন্দ্র দে-র সঙ্গে গান গাওয়ার জন্য ১৯৪২ সালে তিনি মুম্বাইর উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। এর কিছুকাল পর চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের সুযোগ পান।
'তামান্না' ছবিতে সুরাইয়ার সাথে দ্বৈতকণ্ঠে 'জাগো এয় ঊষা' গানটি তঁর প্রথম প্লেব্যাক। শচীন দেব বর্মণ এবং অন্যন্য সঙ্গীত পরিচালকদের সুরে ১৯৪০, ৫০ ও ৬০-এর দশকে বহু কালজয়ী সিনেমার গান দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।মান্না দে'কে ছাড়া বাঙালি অসম্পূর্ণ। ১৯৫৩ সালে 'কতদূরে আর নিয়ে যাবে বলো' গানটি তাঁর রেকর্ড করা প্রথম বাংলা গান।
মান্না দের গাওয়া বাংলা গানের তালিকা বিশাল। যেমন 'কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই', 'এই কুলে আমি, 'সেই তো আবার কাছে এলে, 'ললিতা, ওকে আজ চলে যেতে বল না', 'আমার ভালবাসার রাজপ্রাসাদে', 'যখন কেউ আমাকে পাগল বলে', 'আমি যামিনী তুমি শশী হে', 'কাহারবা নয় দাদরা বাজাও', 'শাওন রাতে যদি', 'আমি শ্রী শ্রী ভজহরি মান্না', 'আমার ভালবাসার রাজপ্রাসাদে', 'আমি যে জলসাঘরে'--- যে গান আজও বাঙালির মুখে মুখে।ভারত সরকার মান্না দে'কে সম্মানিত করেছে চলচ্চিত্র ক্ষেত্রের জন্য সর্বোচ্চ পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে। এবং পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ সম্মানও পেয়েছেন মান্না দে।
Post a Comment