ঘরের এসব প্লাস্টিক পণ্য এখনই বদলে ফেলুন, নইলে বিপদ

ODD বাংলা ডেস্ক: ফুল ভালোবাসেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রত্যেকেই তার বাড়ির পরিবেশ ফুলে ফুলে ভরিয়ে তুলতে চায়। আপনি ফুল গাছ লাগাচ্ছেন কিন্তু কোনো ফুল ফুটছে না, আশাহত হচ্ছেন! 
আলেকজেন্ডার ডেন হেইজার বলেছেন, ‘আপনি যে পরিবেশে গাছ লাগাচ্ছে সে জায়গাটি পরিচর্চা করুন, ফুল নয়।’ এর জন্য সবচেয়ে বড় পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি হল প্লাস্টিকমুক্ত করা। যা বর্তমান প্রজন্মকে একটি উন্নত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যায়। পরিবেশকে সুন্দর করার দায়িত্ব কিন্তু আপনারই। ভাবছেন কীভাবে? তবে জেনে নিন-

১. গ্লাস বা স্টেইনলেস স্টিলের বোতলগুলো স্বাস্থ্যসম্মত। তাই ফ্রিজে থাকা প্লাস্টিকের বোতলগুলো এখনই নষ্ট করে ফেলুন।

২. প্লাস্টিকের ব্যাগ বা পলিথিনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এটি অহরহ ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এর বিকল্প হিসেবে অনেকেই এটির বিকল্প এখন থেকেই চটের ব্যাগ ব্যবহার শুরু করুন।

৩. ফয়েল পেপার একটি নিত্য ব্যবহার্য জিনিসে পরিণত হয়েছে। তবে বাজারে এর বিকল্প পণ্যও রয়েছে। যেমন- মোম এবং জোজোবা তেলের প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মোড়ক ফয়েল পেপারের চেয়েও খাবারকে আরও সতেজ রাখে।

৪. আপনি কি জানেন, প্লাস্টিকের একটি টুথব্রাশ ফেলে দিলে সেটি পচতে চার শতাব্দী লাগে? তাহলে ভাবুন এটি কতটা ক্ষতিকর। বাঁশের বা কাঠের টুথব্রাশগুলো ব্যবহার করুন। যা প্রাকৃতিকভাবে পচনশীল।

৫. কোমল পানীয়কে না বলুন। এগুলো ক্ষতিকারক প্লাস্টিকের বোতলে থাকে। এসব পানীয়ের বদলে তাজা ফলের রস, ডাবের পানি বা লেবুর শরবত পান করুন।

৬. বিশ্বজুড়ে নারীরা ক্ষতিকারক স্যানিটারি ন্যাপকিন বা প্লাস্টিকের ম্যান্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করছেন। এর পরিবর্তে কটন প্যাড ব্যবহার স্বাস্থ্যসম্মত।

৭. প্লাস্টিকের কলমের বদলে পুরানো দিনের কালি ও কলমের সাহায্যে লিখুন। এতে করে পরিবেশ প্লাস্টিকমুক্ত থাকবে। 

৮. প্লাস্টিকের চামচের বদলে স্টিলের অথবা কাঠের চামচ ব্যবহার করুন।

চলুন তবে বাড়ির চারপাশ সঠিকভাবে পরিচর্চা করি। প্লাস্টিকের জিনিস পরিহার করি। প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশ গড়ি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.