স্কুলে যেতে গেলে বাচ্চা সমানে কাঁদছে? তাদের খুশি করার সহজ টিপসগুলো জেনে নিন



 ODD বাংলা ডেস্ক: ছোট শিশুরা স্কুলে যেতে দ্বিধায় পড়ে। বাবা-মা প্রায়ই তাদের সন্তানের মেজাজ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন থাকেন। তো চলুন আপনাকে এমন কিছু টিপস বলি যা আপনার বাচ্চা খুশি মনে স্কুলে যেতে চাইবে। 


বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে সন্তানদের প্রতি বাবা-মায়ের দায়িত্বও বাড়তে থাকে। করোনার পর এখন স্কুল খোলা। প্রথমবার স্কুলে গেলে শিশুরা কাঁদে। বিশেষ করে ছোট শিশুরা স্কুলে যেতে দ্বিধায় পড়ে। বাবা-মা প্রায়ই তাদের সন্তানের মেজাজ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন থাকেন। তো চলুন আপনাকে এমন কিছু টিপস বলি যা আপনার বাচ্চা খুশি মনে স্কুলে যেতে চাইবে। 


শিশুর ভয় দূর করে

স্কুলের নাম শুনলেই শিশুরা ভয় পেয়ে যায়। স্কুলে যাওয়ার জন্য তাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে। আপনি তাদের স্কুলের গল্প বলুন যা তাদের যেতে প্রস্তুত করবে। আপনার স্কুলের কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের বলুন। খেলনা, প্রিয় খাবার এবং স্কুল পার্কের মতো আকর্ষণীয় স্থান উল্লেখ করে তাদের আগ্রহ তৈরি করুন।


খেলনা এবং প্রিয় খাবার সরবরাহ করুন:

লাঞ্চ বক্সে আপনার বাচ্চাকে তাদের পছন্দের খাবার দিন। এতে তাদের মন আনন্দিত হবে। আপনি তাদের পছন্দের খেলনা তাদের ব্যাগে রাখতে পারেন। শিশুকে বলুন যে আপনি তাকে দুপুরের খাবারের জন্য তার প্রিয় খাবার দিয়েছেন। সে তার প্রিয় খেলনা নিয়ে খুশি হবে এবং স্কুলে যেতে প্রস্তুত হবে।


খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠুন

সকালে শিশুর উপর খুব বেশি চাপ দেবেন না। আপনার শিশু খেতে না চাইলে তাকে হালকা জলখাবার দিন। যদি শিশুর সকালে ঘুম না আসে তবে আপনি তাকে রাতে ঘুমাতে পারেন। আপনি আপনার শিশুর ব্যাগ এবং দুপুরের খাবার প্রস্তুত রেখে সারা রাত ঘুমান। এতে সকালে শিশুর ঈর্ষা হবে না এবং সে স্বাচ্ছন্দ্যে স্কুলে যাবে


ঘুমাতে দিন:

আপনি যদি আপনার সন্তানকে সকালে স্কুলে পাঠাতে চান, তাহলে আপনি তাকে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে দিন। আপনার শিশু পর্যাপ্ত ঘুম পায় তা নিশ্চিত করুন। একটি তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুর জন্য ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর ঘুম সম্পূর্ণ হলে সে স্কুলে যেতে পেরে খুশি হবে।


শিশুদের প্রতি শান্ত হোন:

আপনার সন্তান প্রাথমিকভাবে স্কুলে যেতে অস্বীকার করলে চিন্তা করবেন না। আপনি ধৈর্য ধরে তার মেজাজ সতেজ করার চেষ্টা করুন। আপনার সন্তানের উপর চাপ দেবেন না। আপনি নিজেই বাচ্চা তুলে নিন এবং ফেলে দিন। এতে শিশু একটু আরাম বোধ করবে। তাকে ভালো মেজাজে রাখতে আপনি তার প্রিয় চকোলেটও দিতে পারেন। আপনি আপনার সন্তানকে স্কুলের পরে তার প্রিয় আইসক্রিম এবং স্ন্যাকসও দিতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.