আজ খুশির ঈদ, জানেন এই দিনটি ইসলাম ধর্মে কেন তাৎপর্যপূর্ণ


ODD বাংলা ডেস্ক: রমজান মাসের শেষে পালিত হয় ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। রমজানের শেষে চাঁদ দেখার মাধ্যমেই ঈদ শুরু হয়। 'ঈদ' হল আনন্দ উৎসব। রমজানের রোজার শেষে এই ঈদ আসে বলে এর নাম 'ঈদ-উল-ফিতর'। এটি রোজার ঈদ হিসেবেও পরিচিত।

এই পবিত্র উৎসব সম্পর্কে রইল কিছু তথ্য-

  • রমজান মাসের শেষ দিনে আকাশে চাঁদ দেখা গেলে, তার পরের দিন খুশির ঈদ উদযাপিত হয়। ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, রমজান মাস ২৯-৩০ দিনের হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের সকলে এই পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখে।

  • রমজান মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা উপবাস পালন করে। সেহেরি ও ইফতার, এই দুটি রীতি মেনে রমজান মাস পালন করা হয়। সূর্যোদয়ের আগে সকালের খাবারকে বলা হয় সেহেরি ও সূর্যাস্তের পর যে খাবার খাওয়া হয় তাকে বলে ইফতার।

  • রমজান মাসকে অত্যন্ত পবিত্র মাস হিসেবে বিশ্বাস করা হয়। এইমাসে সৎকর্ম, মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ছড়িয়ে দেওয়া ও ধৈর্য ধরা হয় এবং সমস্ত মন্দ চিন্তা ও অভ্যাসকে দূরে সরানো হয়। এইসময় মুসলিমরা মদ্যপান, ধূমপান, শারীরিক মিলন এবং যেকোনও পাপকার্য থেকে বিরত থাকেন। এই সময় মিথ্যে কথা বলাও উচিত নয়। এই কারণে মাসটিকে সৎ ও উপাসনার মাস বলা হয়। ঈদ-উল-ফিতরের মধ্য দিয়েই পবিত্র ইসলামী মাস রমজানের সমাপ্তি হয়।

  • হিজরি ক্যালেন্ডার অনুসারে, বছরে দু'বার ঈদ আসে। একটির নাম ঈদ-উল-ফিতর এবং অপরটি ঈদ-আল-আধা। ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের প্রায় দুই মাস পরে বকরি ঈদ উদযাপিত হয়। দু'টি ঈদ-ই শুরু হয় নতুন চাঁদ দর্শন করে। ঈদ-উল-ফিতর-কে মিঠি ঈদও বলা হয়। ঈদ-আল-আধা-কে কোরবানি ঈদ ও বকরি ঈদ বলা হয়।

  • ঈদ-উল-ফিতর থেকে শুরু হয় ইসলামিক ক্যালেন্ডারের দশম মাস শাওয়াল।ঈদ-উল-ফিতর কথাটির অর্থ, উপবাস ভঙ্গের উত্‍সব। রমজান মাসের রোজা বা উপবাস ভঙ্গ করা হয় ঈদের দিনে।নতুন জামাকাপড় পরে এই বিশেষ দিনটা পরিবারের সঙ্গে কাটান মুসলিমরা। এছাড়াও, রমজান মাসে বা ঈদের দিনে দরিদ্রদের খাদ্যদ্রব্য, বস্ত্র দান করারও রীতি রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.