আচমকাই কুঁচকে ছোট হয়ে যাচ্ছে পুরুষাঙ্গ, কী ইঙ্গিত বিজ্ঞানীদের?
ODD বাংলা ডেস্ক: যৌনতা নিয়ে আজও বহু মানুষের অনেক রকমের ভুল চিন্তাধারা রয়েছে। যার ফলে নানারকম জটিল অসুখের মুখে পড়তে হয় মানুষকে। এদিকে পরিবেশে দূষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কোনওভাবেই রাশ টানা যাচ্ছে না। আর তার ফল হচ্ছে মারাত্বক। এমতাবস্থায় জীব বৈচিত্রের পাশাপাশি পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে মানুষের শরীরের একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ক্রিয়া। যার ফলে চিন্তায় বিজ্ঞানীরা।সম্প্রতি এক গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে ঘুম উড়ে গিয়েছে পুরুষ সমাজের। গবেষণা বলছে, যত দিন যাচ্ছে, কুঁচকে ছোট হয়ে যাচ্ছে পুরুষাঙ্গ! বাড়ছে যৌন অক্ষমতা! এমনকি যে সব শিশুরা জন্ম নিচ্ছে, তাঁরা ছোট বা ক্ষুদ্র পুরুষাঙ্গ নিয়েই ভূমিষ্ঠ হচ্ছে।
পরিবেশ বিজ্ঞানী শানা শন তাঁর নতুন বই 'Count Down'-এ লিখেছেন, মনুষ্য জাতির অস্তিত্ব সংকটের মুখে। কারণ, ক্রমেই ক্ষুদ্র হয়ে যাচ্ছে পুরুষাঙ্গ। যার জেরে প্রজনন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে বহু মানুষের এবং অনেকের আবার শুক্রানু উৎপাদন ক্ষমতা ঠেকছে তলানিতে। যা সমস্ত মানব জাতির কাছে চ্যালেঞ্জ। কিন্তু কী কারনে এমনটা ঘটছে? বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিকজাত দ্রব্য উৎপাদনের ফলে 'Phthalate' নামে একটি রাসায়নিক নির্গত হয়। সেই রাসায়নিক এন্ডোক্রাইন সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। ফলে হরমোন তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, 'Phthalate' নামে এই রাসায়নিক প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্যকে নরম এবং ফ্লেক্সিবল করতে সাহাজ্য করে। বিজ্ঞানী শানা শন একটি সমীক্ষা চালান, কীভাবে আধুনিক সভ্যতা শুক্রানু উৎপাদন ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে। পুরুষ এবং মহিলাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রক্রিয়াকে ক্ষতি করছে এবং তার জেরে সংকটে পড়ছে মানুষের অস্তিত্ব। তাঁর গবেষনায় উঠে এসেছে, 'Phthalate' সিন্ড্রোম সরাসরি মানব ভ্রূণকে ক্ষতি করছে। দেখা গিয়েছে, মায়ের গর্ভেই শিশুর পুরুষাঙ্গ যথাযথ আকার পায়নি। যা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে মানব জাতির অন্দরে।
Post a Comment