স্বেচ্ছায় যৌন পেশা কোনও অপরাধ নয়, যৌন পেশাকে স্বীকৃতি দিল সুপ্রিম কোর্ট


ODD বাংলা ডেস্ক: যৌন পেশাকে স্বীকৃতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার থেকে আইনের আওতায় যৌনকর্মীরা অন্যান্য পেশার মানুষের মতো সমান মর্যাদা ও সুরক্ষা পাবেন। যারা স্বেচ্ছায় এই পেশায় আসবেন তাদের কোনও হয়রানি করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।

সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, যৌনকর্মীদের গ্রেফতার বা শাস্তি দেওয়া বা হয়রানি করা উচিত নয় কারণ স্বেচ্ছায় যৌন কাজ ‘বেআইনি নয়’ এবং শুধু যৌনপল্লি বেআইনি। আদালতের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, ‘যৌনকর্মীরাও আইনের চোখে সমান সুরক্ষার অধিকারী। যখন এটা স্পষ্ট যে, যৌনকর্মী এক জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং সম্মতি সাপেক্ষেই যৌনবৃত্তি করছেন, তখন পুলিশকে অকারণে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনও ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। ‘এই দেশের প্রত্যেক ব্যক্তির ভারতের সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনের অধিকার রয়েছে।’

 

আদালত সাফ জানিয়েছে, মা যৌনপেশায় আছেন, শুধু সেই যুক্তিতে সন্তানকে তার মায়ের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া যাবে না।আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘কোনো ছোট শিশুকে যৌনপল্লি বা যৌনকর্মীর সঙ্গে দেখলেই তাকে পাচার করে আনা হয়েছে, তা ধারণা করা ঠিক হবে না। যদি কোনো ক্ষেত্রে একজন যৌনকর্মী কাউকে তার ছেলে বা মেয়ে দাবি করেন, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করা যেতে পারে। তবে জোর করে তাদের আলাদা করা যাবে না।’

এ ছাড়া কোনও যৌনকর্মী যদি তাঁর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে যান, তা হলে সেটিও সমান মনোযোগের সঙ্গে দেখবেন পুলিশকর্মী। বিশেষত, যদি যৌনকর্মী তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা বা অপরাধের অভিযোগ নিয়ে আসেন, তা হলে দ্রুত তার শারীরিক পরীক্ষা করে তদন্ত শুরু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে, একজন সাধারণ মানুষ যেমন সুবিধার অধিকারী, একজন যৌনকর্মীর ক্ষেত্রেও তার অন্যথা করা যাবে না। কোনো ঘটনা ঘটলে যৌনকর্মীদের পরিচয় যেন প্রকাশ্যে না আসে, সে ব্যাপারেও স্পষ্ট নির্দেশিকা দিয়েছে আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট সুপারিশগুলির ব্যাপারে কেন্দ্রের মতামতও জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী ২৭ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য করেন আদালত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.