বুক জ্বালা-অম্বল-অ্যাসিডিটির সমস্যায় জেরবার? এভাবে ঘুমোলে মিলবে মুক্তি
ODD বাংলা ডেস্ক: মানুষ বিভিন্ন অবস্থানে ঘুমায়, যার মধ্যে রয়েছে তাদের পেটের ওপর চাপ দিয়ে ঘুমানো, পিঠে ভর দিয়ে ঘুমোনো, কাত হয়ে ঘুমোনো। কিছু মানুষ আছেন যারা রাতে ঘুমের মধ্যে বারবার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকেন।
সুস্থ থাকতে হলে পরিপূর্ণ বা ভালো ঘুম হওয়া উচিত। মানুষের ঘুম কম হলে ক্লান্তি এবং অন্যান্য সমস্যা ঘটতে শুরু করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার পেছনে খাবার এবং সক্রিয় না থাকাও কারণ হতে পারে। আপনি কোন পজিশনে ঘুমোচ্ছেন, এটাও কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ বিভিন্ন অবস্থানে ঘুমায়, যার মধ্যে রয়েছে তাদের পেটের ওপর চাপ দিয়ে ঘুমানো, পিঠে ভর দিয়ে ঘুমোনো, কাত হয়ে ঘুমোনো। কিছু মানুষ আছেন যারা রাতে ঘুমের মধ্যে বারবার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকেন। এ ছাড়া কিছু মানুষ আছেন যারা শারীরিক সমস্যার কারণে ভালো ঘুমাতে পারেন না। পিঠ, ঘাড় এবং অম্লতা অনিদ্রার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এগুলো দূর করার জন্য ওষুধ ও ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। কিন্তু আপনি কি জানেন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতেও এগুলো কাটিয়ে ওঠা যায়। এই নিবন্ধে, আমরা আপনাকে বলব যে কোন স্বাস্থ্য সমস্যার সময়, কোন অবস্থানে ঘুমানো উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
ঘাড় ব্যথা
যাদের ঘাড়ে ব্যথা আছে, তাদের পেটের উপর ঘুমানো এড়িয়ে চলা উচিত। এই ধরনের লোকদের তাদের পিঠে বা পাশে ঘুমানো উচিত। এছাড়াও, ঘাড়ের নীচে একটি বালিশ রাখতে ভুলবেন না।
পিঠে ব্যাথা
পিঠে ব্যথা রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এই সময়, আপনাকে আপনার পিঠে ঘুমাতে হবে, তবে আপনার হাঁটুর নীচে বালিশ রেখে ঘুমাতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বক্ররেখা বজায় রাখে। আপনি যদি আরও বিশ্রাম চান, তাহলে তোয়ালে রোল করে কোমরের নিচে রেখে কিছুক্ষণ সোজা হয়ে শুয়ে থাকুন।
অ্যাসিডিটির সময়
বাইরের ভাজা বা মশলাদার খাবার খেলে অ্যাসিডিটি হতে থাকে। রাতে অ্যাসিডিটি শুরু হলে সারা রাত ঘুমাতে দেয় না। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ঘুমানোর সময় মাথার নিচে একটি উঁচু বালিশ রেখে বা কোনোভাবে বিছানার মাথা উঁচু করে তার পাশে ঘুমান। এই পদ্ধতি স্বস্তি দিতে পারে।
কাঁধে ব্যথা
কাঁধের ব্যথাও আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। কাঁধে যেখানে ব্যথা আছে সেদিকে ঘুমাবেন না, কারণ এই পদ্ধতিটি ব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনার পিঠে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। আপনি যদি আপনার পাশে ঘুমাতে চান তবে এমন বালিশ ব্যবহার করুন, যা শরীরকে আরাম দেয়।
Post a Comment