বানরের রসনাতৃপ্তি মেটায় ‘অ্যালকোহল থাকা ফল’

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ফল পাকলেই বানররা তা খেতে চায় না। তারা অপেক্ষা করে, কখন ওই ফলে অ্যালকোহল তৈরি হবে। শুধু পেকে যাওয়াই যথেষ্ট নয়, কিছুটা গেঁজিয়ে যাওয়া ফলই ওদের বেশি পছন্দ। এক গবেষণায় জানানো হয়েছে এমন তথ্য। 

‘ড্রাঙ্কেন মাঙ্কি’ নামক ওই তত্ত্বনির্ভর গবেষণায় জানানো হয়েছে, বানরের রসনাতৃপ্তি মেটাতে একটি পাকা ফলে প্রায় ২ শতাংশের মতো অ্যালকোহল থাকতে হবে। গবেষণায় এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে যে, মানুষের মধ্যে অ্যালকোহল প্রেম সৃষ্টি হয়েছে বানর থেকেই।   


ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রাইমাটোলজিস্ট ক্রিস্টিনা ক্যাম্পবেল এবং তার ছাত্রী ভিক্টোরিয়া ওয়েভার বানরের খাওয়া এবং ফেলে দেওয়া ফল সংগ্রহ করেন। তারা দেখতে পান, সেই ফলের মধ্যে অ্যালকোহলের ঘনত্ব সাধারণত আয়তনের ভিত্তিতে দুই শতাংশের মতো ছিল। যা ফল পাকাতে প্রাকৃতিক গাঁজনের একটি উপজাত। এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নালে। 


এদিকে অধ্যাপক রবার্ট ডুডলি মানুষের সুরার প্রতি আসক্তি নিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর গবেষণা করছেন। ২০১৪ সালে এ বিষয়ে তিনি ‘দি ড্রাঙ্কেন মাঙ্কি: হোয়াই উই ড্রিঙ্ক অ্যাবিউজ অ্যালকোহল’ নামে একটি বই লেখেন। সেখানে দাবি করা হয় ফল পাকলেই বানর খেতে চায় না। অধিকন্তু, গবেষকরা বানরের প্রস্রাব সংগ্রহ করে দেখতে পান প্রস্রাবে অ্যালকোহলের সেকেন্ডারি মেটাবোলাইট রয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, ওই প্রাণীরা আসলে শক্তির জন্য অ্যালকোহল ব্যবহার করছিল। 


গবেষণায় আরো দেখা যায়, কিছু ফল প্রাইমেটদের দ্বারা খাওয়ার জন্য পরিচিত যেগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে উচ্চ অ্যালকোহল অন্তত সাত শতাংশ পর্যন্ত থাকতে পারে। তারা দুটি বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্তে এসেছেন। একটি হচ্ছে, বানরেরা যে খাবার খাচ্ছে তাতে ইথানল আছে, এবং তারা প্রচুর ফল খাচ্ছে। 


দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, তারা অ্যালকোহল বিপাক করছে, ফলে সেকেন্ডারি মেটাবোলাইট, ইথাইল গ্লুকোরোনাইড এবং ইথাইল সালফেট প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসছে। গবেষকরা ছয়টি বানরের প্রস্রাবের মধ্যে পাঁচটির নমুনায় ইথানলের সেকেন্ডারি মেটাবোলাইট পেয়েছেন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.