প্রচন্ড গরমে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক! অসুখ ঠেকাবেন কোন উপায়ে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: প্যাচপ্যাচে গরমে জীবন একেবারে নাজেহাল। কখনও বৃষ্টি কখনও আবার চড়া রোদ। যখন তখন হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তীব্র গরমের ফলে আপনার অজ্ঞাতসারে বাড়তে পারে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। বিপদের সামনে এসে দাঁড়াতে পারে যখন তখন।


বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কোনও আগাম সঙ্কেত ছাড়াই আসে। হৃদ্‌স্পন্দন অনিয়মিত হতে শুরু করলেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। শীতকালে সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হলেও গরমেও যখন তখন হানা দিতে পারে হৃদ্‌রোগ। হিট স্ট্রোকের ফলে হঠাৎ আপনার রক্তচাপ কমে যেতে পারে— আর তখনই ঘটতে পারে বিপত্তি!


কর্মব্যস্ত জীবনে বাড়তে থাকা মানসিক চাপ এবং চাপা উদ্বেগও হৃদ্‌রোগের অন্যতম কারণ হতে পারে। ধমনী ব্লক হয়ে গেলে অক্সিজেনযুক্ত পরিশুদ্ধ রক্ত হৃদ‌্‌যন্ত্রে পৌঁছতে পারে না, তখনই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে হৃদ্‌যন্ত্রের সেই অংশটি অকেজো হয়ে যায়। গরমের দিনে সামান্য কিছু খেলেই হজম করতে বেশ অসুবিধা হয়। বদহজম হলে হার্টের উপর তার প্রভাব পড়ে। সুতরাং সাবধান হোন।


দুর্ঘটনা এড়াতে প্রথমেই সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকরা। কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।


খাদ্যাভাসে বদল আনুন


গরমের দিনগুলিতে মাছ-মাংস যেমন খাচ্ছেন, তার সঙ্গে সপ্তাহে অন্তত কয়েকদিন বেশি পরিমাণে সবুজ শাকসব্জি ও ফাইবারযুক্ত খাবারও খেতে হবে। শাকসব্জিতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম তাই হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে। খাদ্যতালিকায় ওট্‌স, ব্রাউন রাইস, বিনস, মুসুর ডাল, বাদাম, বীজ ও নানা ধরনের ফল রাখুন। বেশি করে জল খেতে হবে। শরীরের তাপমাত্রা যাতে স্বাভাবিক থাতে সে বিষয় সতর্ক থাকতে হবে।


নিয়ম করে শরীরচর্চা করুন


ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও কিন্তু হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা বাড়ে। তাই গরমেও শরীরচর্চা করতেই হবে। এর সঙ্গে হাঁটাহাঁটিও করা জরুরি। তবে এই সময় খুব ভারী শরীরচর্চা নয়, হালকা ব্যায়াম, যোগাসন করলেই ভাল।


অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমন


পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘুম না হলে কিন্তু হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে। শরীর যদি সঠিক পরিমাণে বিশ্রাম না পায়, তা হলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ভাল মতো হয় না। সে ক্ষেত্রে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বেশি মাত্রায় হয়। হৃদ্‌রোগের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। দিনে আট ঘণ্টা ঘুম দিতেই হবে।


মানসিক চাপ কমান


অফিসের কাজ চাপ, পারিবারিক সমস্যা ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়েই আমরা সব সময়েই চিন্তিত থাকি। ফলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি তো বাড়েই, সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, বেশি খাওয়া, ঘুমের সমস্যা, মানসিক ক্লান্তি দেখা দেয়। মনোসংযোগ বাড়াতে ধ্যান করতে পারেন। বই পড়া কিংবা গান শোনার অভ্যাস থাকলে, সেগুলিও চাপমুক্ত হতে সাহায্য করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.