হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায় অস্টিওপোরোসিসের ব্যথা! আটকাবেন কী ভাবে

 


ODD বাংলা ডেস্ক: শুধু অস্টিওপোরোসিসই নয়, হাড়ের ক্ষয় থেকে দেখা দিতে পারে হরেক রকমের সমস্যা। বিশেষ করে বয়স চল্লিশ পেরোলে তো আর কথাই নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করার সবচেয়ে মোক্ষম হাতিয়ার সঠিক খাওয়াদাওয়া।


১। ক্যালশিয়াম: হাড়ের সবচেয়ে বড় বন্ধু এই মৌল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এক জন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম প্রয়োজন। নারীদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ১২০০ মিলিগ্রাম। কাজেই হাড় ভাল রাখতে ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ক্যালশিয়ামের সবচেয়ে ভাল উৎস দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থ। কিন্তু যাঁরা এই ধরনের খাবার খেতে পারেন না, তাঁদের গাঢ় সবুজ রঙের শাকসব্জি খাওয়া বাঞ্ছনীয়। পালং শাক, বাঁধাকপি ও শালগমের শাকের মতো খাবারেও প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম মেলে।


২। ভিটামিন: হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ও ভিটামিন কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত রোদে বেরোলে ত্বকেই উৎপন্ন হয় ভিটামিন ডি। তা ছাড়াও বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। আর ভিটামিন কে মেলে সবুজ শাকসব্জিতে।


৩। ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক: ক্যালশিয়াম ছাড়া এই দু’টি মৌলও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুমড়োর বীজ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও পালং শাক ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর। আর জিঙ্ক পেতে চাইলে খেতে হবে মাংস, ডিম কিংবা ডাল।৪। প্রোটিন: শুধু পৌষ্টিক উপাদানই নয়, হাড়ের স্বাস্থ্যরক্ষায় সমান গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনও। তাই হাড় ভাল রাখতে, নিয়মিত খেতে হবে মাছ, মাংস, ডিমের মতো খাবার। তবে বেশি তেলে-ঝোলে এই ধরনের খাবার খেতে গিয়ে যাতে উল্টে হিতে বিপরীত না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.