সুডৌল স্তনের আকার বড় করার আগে সাবধান! ব্রেস্ট সার্জারিতে কতটা ঝুঁকি বাড়ছে ক্যান্সারের

ODD বাংলা ডেস্ক: ক্যান্সার নামটি শুনলেই যেন বুকটা কেঁপে ওঠে। গোটা বিশ্বজুড়ে এই রোগের ত্রাসে ভীত কমবেশি সকলেই।  এই মারণ রোগে আক্রান্ত হলেই মৃত্যু পর্যন্ত হয় অনেকেরই। সমীক্ষা বলছে ৬ টি মৃত্যুর মধ্যে ২ টি মৃত্যুর কারণই এই ক্যান্সার। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি  ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। স্তন ক্যান্সার নিয়ে নানান ভুল ধারণা রয়েছে সকলের মধ্যে।  যেমন স্তন সার্জারি করলে এই ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে , তা মোটেই নয়। তবে অতিরিক্ত কাটাছেড়াও শরীরের বিপদ ডেকে আনে। যে কোনও কারণেই স্তন ক্যান্সার হতে পারে।

 

বর্তমানে যা দেখা যাচ্ছে, রোগ হতে না হতেই সঙ্গে সঙ্গে  গবেষণা শুরু করে দেন রোগী ও তাঁর পরিবার। এতে কিন্তু লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। স্তন ক্যান্সারের মতো মারণ রোগে গোটা বিশ্ব জুড়েই মহিলারা আক্রান্ত হচ্ছেন। 


সম্প্রতি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি ও সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে । শুধু তাই নয় ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়েও  ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে সকলের মধ্যে। তবে ভুল দিকে কান না দিয়ে  সত্যি-মিথ্যা জানা সবার আগে জরুরি।


মারণ রোগে আক্রান্ত হলেই মৃত্যু পর্যন্ত হয় অনেকেরই। সমীক্ষা বলছে ৬ টি মৃত্যুর মধ্যে ২ টি মৃত্যুর কারণই এই ক্যান্সার।  ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি  স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি ও সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে । 


মারণ রোগ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হলে সবার আগে জানতে হবে কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে। প্রথমত, স্তন ক্যান্সার হলেই লাম্প দেখা যায় স্তনে। তবে স্তনের মধ্যে  কোনও লাম্প দেখা দিয়েছে মানেই সেটা যে ক্যান্সার, তা কিন্তু  কখনই নয়। 


অল্প বয়সী মহিলাদের স্তন ক্যানসার হয় না এরও কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। বেশিরভাগ মহিলারাই এই রোগে আক্রান্ত হন। তবে তাঁদের বয়স ৪০-এর উপরে। কম বয়সের মেয়েরাও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। আকারে ছোট কিংবা বড় স্তন যাঁদের, তার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।


স্তনের আকার বা আকৃতির সঙ্গে স্তন ক্যানসার হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।স্তন সার্জারি করলে এই ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে , তা মোটেই নয়। তবে অতিরিক্ত কাটাছেড়াও শরীরের বিপদ ডেকে আনে। যে কোনও কারণেই স্তন ক্যান্সার হতে পারে।


যারা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রথম স্টেজে থাকেন সেক্ষেত্রে তাদের কোনও লাম্প হয় না। বরং অনেক ক্ষেত্রেই রোগী কোনও লাম্প অনুভবও করতে পারেন না। বংশগতভাবে যাদের পরিবারের কেউ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না থাকেন অনেকেই ভাবেন তিনি এই মারণ রোগ থেকে মুক্ত। কিন্তু  মহিরালাই বেশি করে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।


 অনেকেই মনে করেন তার দেওয়া অন্তর্বাস পরলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই তথ্যের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ব্রেস্ট ক্যান্সারে শুধু মেয়েরাই নন, বরং ছেলেরাও আক্রান্ত হচ্ছেন।গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বার্ধক্যে থাকা পুরুষদের মধ্যেই এই স্তন ক্যান্সার বাসা বাঁধছে। 


স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ধাপে ধরা পড়লে তাহলে বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা পরের দিকেই ধরা পড়ে। কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপিতে স্তন ক্যান্সার সারানো যায়।


জেনেটিক সূত্র ধরেই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন পুরুষরা। গবেষণা মতে, ১৫-২০ শতাংশ পুরুষই বংশানুক্রমিক ভাবেই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।শরীরে ইস্ট্রোজেন ও অ্যান্ড্রেজেনের তারতম্যের কারণেই পুরুষের শরীরে এই রোগের জীবাণু থাকে। অ্যালকোহল , সিগারেট সেবন অতিরিক্ত পরিমাণে, শরীরচর্চা না করলেও উচ্চমাত্রার ইস্ট্রোজেন নিঃসৃত হয় এবং যার থেকে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়ে যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.