মে‌স্ফিস: সঙ্গীত আর শৈল্পিকতার শহর

 


ODD বাংলা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গীত ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র বলা হয়‌ মেস্ফিসকে। এটি দেশটির টেনেসি অঙ্গরাজ্যের একটি শহর। পুরো বছরজুড়ে এই শহরে চলবে গান, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও ভোজন-সংক্রান্ত মনমাতানো নানান উৎসব। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—বারবিকিউ কনটেস্ট (১৫ থেকে ১৮ মে), রিভার রান (২৫ মে), বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী।

মে ও জুন মাসে ঘোরার জন্য মেম্ফিস শহর বেশ চমৎকার জায়গা। তবে মে মাসটা একটু বেশি প্রাণোচ্ছল থাকে।


শহরটির সবকিছুই দেখার মতো। তবে মেম্ফিসে গিয়ে গ্রেসল্যান্ড না দেখে কেউ ফেরে না। রক এন’ রোলের রাজা এলভিস প্রিসলি সেখানেই জন্মেছিলেন। তার গানের আঁতুড়ঘর ‌‘সান স্টুডিও’ পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এলভিস প্রিসলি, জেরি লি লুইস ও জনি ক্যাশের মতো তারকাদের বিখ্যাত অসংখ্য গানগুলোর রেকর্ডিং হয়েছে এই স্টুডিওতে। আরো আছে ব্লুজ সংগীতের শেকড়গাথা বিয়েল স্ট্রিট। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ পিবডি হোটেলে প্রতিদিনের হাঁসের প্যারেড।


এসব দেখা শেষে স্ট্যাক্স মিউজিয়াম অব আমেরিকান সৌল মিউজিকে ঘুরে আসতে পারেন। সেখানে গেলে আপনি সৌল সংগীতের ইতিহাস জানতে জানতে পারবেন। এখানে রাখা হয়েছে মার্কিন গায়ক আইজাক হেইসের নীল রঙা ১৯৭২ সালের গাড়ি, আমেরিকার সংগীতশিল্পী আইক টার্নারের ফেন্ডার গিটার ও মিসিসিপি ডেল্টা অঞ্চলের শতবর্ষী গির্জাসহ অনেক বিখ্যাত মানুষের জিনিসপত্র। এসব দেখে আপনাকে মুগ্ধ হতেই হবে!


ইতালিয়ান রেনেসাঁ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ের নানাবিধ চিত্রকর্ম ঠাঁসা মেম্ফিস ব্রুকস মিউজিয়াম অব আর্ট। এগুলোর সৌন্দর্যে বিমোহিত হতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এই জাদুঘরে। ওভারটন পার্কে অবস্থিত ১৯১৬ সালের এই স্থাপনা দেখলে মনে হবে যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা।


গরমের ফোঁড়ন যদি সহনীয় না হয়, তাহলে জেরি’স স্নো কোনসে’র দ্বারস্থ হলে শীতল আমেজ মিলবে। সেখানে লম্বা লাইন ধরতে হতে পারে। বেদনাদায়ক কিন্তু আমেরিকার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ লরেইন মোটেলে ন্যাশনাল সিভিল রাইটস মিউজিয়াম ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য কাঙ্ক্ষিত একটি জায়গা। ১৯৬৮ সালে মোটেলটির একটি ব্যালকনিতে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রকে হত্যা করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.