কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেবে এই ৩ মন্ত্র, পড়ুন করিনার পুষ্টিবিদের পরামর্শ

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  কোষ্ঠকাঠিন্য! এমনই একটি যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা যা টয়লেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও অস্বস্তিতে ভোগেন অনেকেই। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যের পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করে। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


অনেকেই আছেন যাঁরা এ জন্য মুঠো মুঠো ওষুধ খান। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও উপকার মেলে না। আবার কিছু কিছু ওষুধ আছে যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। যেমন নিয়মিত যদি আইবুপ্রোফেন জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ বা ক্যালসিয়ামের বড়ি খাওয়া হয়, তাহলে এই সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই সমস্যা যদি বাড়তে থাকে তাহলে দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যায় পড়তে পারেন। অর্শ বা পাইলস, ফিস্টুলা বা ভগন্দর, অ্যানাল ফিশার বা গেজ রোগ, প্রস্রাবের সমস্যা, পেটব্যথা বা ফাঁপা, অরুচি, ক্ষুধামান্দ্যের মতো জটিলতা তৈরি হতে পারে।


করিনা কাপুরের পুষ্টিবিদ তথা সেলেব্রিটি ডায়েটিশিয়ান এবং বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের ডায়েটিশিয়ান রুজুতা তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে কোষ্টকাঠিন্য ও পেঁট ফাঁপার জন্য তিনটি নিয়ম উল্লেখ করেছন। রুজুতা দিওয়েকর সব সময়েই প্রাকৃতিক,তিনি সব সময় দেশজ খাদ্যের হয়ে সওয়াল করেন৷ আর সেটাই বলি সেলবরা মেনে চলেন অক্ষরে অক্ষরে৷



তিনি তাঁর পোস্টে ৩টি নিয়মের কথা বলেছেন। যা মানলে পেট ফাঁপা ও কোষ্টকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে সহজে। আসলে গরমে সময় পেট ফাঁপা, খেতে অনীহা, পেট ভার হয়ে থাকা, খিদে না পাওয়া এমন হলে বুঝতে হবে পেটে সমস্যা হচ্ছে। আর এমন হলে বিকেল পর্যন্ত আর খেতেই ইচ্ছে করছে না। কারোর কারোর অবশ্য আগে থেকেই গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিন্যাল (GI) সমস্যা থাকে। এর হাত রেহাই পেতে হলে কফি বর্জন করার পরামর্শ দিয়েছেন রুজুতা। তাঁর মতে খাবারের সঙ্গে ঘি খান। সবজির সঙ্গে রুটি খান আর ভাতের সঙ্গে কাঁটা স্যালাড বা স্মুদি কখনই নয়। ঘুমানো ঘুম থেকে ওঠা এই সময়ে করুন। তাঁর মতে, ঘি সবজি আর ঘুম এই তিনটি জিনিস হল পেঁটফাঁটা ও কোষ্টকাঠিন্যের মূল মন্ত্র।


বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানত খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়ার কারণে যে কোনও ঋতুতে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বছরভর রুটিনের মধ্যে না থাকলে বদহজমের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে গরমের সময় বা উৎসবের মরসুমের দিনগুলিতে। কোন খাবার সঙ্গে কোন খাবার রাখতে হবে তা আমরা অনেকেই জানি না, এর ফলে নানা সমস্যা হতে পারে। এই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের জন্য বদহজম, অ্যাসিডিটি, কোষ্টকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.