১৪ বছরের ছেলেকে ঠোঁটে চুমু খাওয়া অপ্রাকৃত অপরাধ নয়, যৌন হেনস্থা মামলায় বলল বোম্বে হাইকোর্ট

 


ODD বাংলা ডেস্ক:চুম্বন ও স্নেহের স্পর্শ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারার অধীনে অপ্রাকৃত অপরাধ নয়। একটি নাবালককে যৌন নির্যাতনের অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত ৩০ হাজার টাকা বন্ডে জামিন দেওয়ার সময় এমনই পর্যবেক্ষণ বোম্বে হাইকোর্টের। বিচারপতি অনুজা প্রভুদেশাই ১৪ বছর বয়সী একটি ছেলের  বাবার দায়ের করা মামালার শুনানির সময় এমনটাই মন্তব্য করেছেন।  পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল। সেই ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন বিচারপতি। 


এফআইআর অনুসারে ছেলেটির বাবার আলমারি থেকে কিছু টাকা খোয়া গিয়েছিল। সেই সময়ই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ছেলেটি জানায় সে এক ব্যক্তির দোকানে সেই টাকা দিয়েছে। নাবালক তখন আরও বলেছিল সে অনলাইন গেম 'ওলাপার্টি' রিচার্জ করার জন্য এক ব্যক্তির দোকানে যেত সেই ব্যক্তি সব রিচার্জ করে দিত। একদিন রিচার্জের সময় দোকানের মালিক ১৪ বছরের ছেলেকে ঠোঁটে চুমু খায় ও তার গোপনাঙ্গ স্পর্ষ করে- বলে অভিযোগ করে ছেলেটি। 


তারপরই ছেলেটির বাবা পুলিশের কাছে যায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ৩৭৭ ধারার অধীনে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। এই ধারাটি মূলত শারীরিক মিলন বা অন্য কোনও অস্বাভাবিক যৌন মিলনের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক।  এটি শাস্তিযোগ্য যৌন অপরাধ হিসেবে কাজ করে। উল্লেখ্য এই ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন  কারাদণ্ডও হতে পারে। এই ধারাতেই সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হয়েছে। 


বিচারপতি প্রভুদেশাই অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার সময় বলেছেন, ছেলেটিকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে- মেডিক্যাল রিপোর্টে তার কোনও উল্লেখ নেই। ছেলেটির বক্তব্যও মেডিক্যল রিপোর্ট সমর্থন করে না। তিনি আরও বলেছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরোপিত POCSO ধারাগুলির কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত সাজা পেতে পারে। তাই অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হয়েছে। তিনি বসেছেন বর্তমানে অস্বভাবিক যৌনতার উপাদানটি প্রাথমিকভাবে প্রযোজ্য নয়। 


বিচারপতি বলেন, ভুক্তভোগীর বিবৃতি ও সেইসঙ্গে এফআইার রিপোর্ট প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত দেয় যে আবেদনকারী ছেলেটির ঠোঁটে চুমু খেয়েছিল ও তার গোপনাঙ্গ স্পর্শ করেছিল। তবে প্রাথমিকভাবে ৩৭৭ ধারার অধীনে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। বোম্বে হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই এক বছর হেফাজতে ছিল। এই মামলার বিচার দ্রুত শুরু হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই  সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জামিন দেওয়া হয়েছে।  পরবর্তী শুনানির কথা জানায়নি আদালত।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.