সুখবর! ভারত, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সরাসরি ক্রুজ সার্ভিস

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সমুদ্রপথে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত-মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কার সরাসরি ক্রুজ সার্ভিস চালু হচ্ছে।


এরই মধ্যে ২৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি প্রমোদতরীর নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানিয়ে বিআইডব্লিউটিএ বলছে, ত্রিদেশীয় এই ক্রুজ শিপ পরিষেবা দেশের নৌপর্যটনের ক্ষেত্রে মাইলফলক।

নীল সমুদ্রে ভাসছে রাজকীয় প্রমোদতরী। তাতে চড়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন পর্যটকরা। সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক রুটে ক্রুজকেন্দ্রিক পর্যটনের সুযোগ এত দিন শুধু উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার তাতে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।

প্রতিবেশী তিন দেশ, ভারত-মালদ্বীপ আর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সমুদ্রপথে ক্রুজ সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই লক্ষ্যে ৭৭ কোটি টাকা করে মোট ২৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ৩টি ক্রুজ শিপ।


ইউরোপীয় শিপগুলোর সমমানের এসব জাহাজে থাকবে ১৫০টি কেবিন। ২০টি প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট। থ্রিডি সিনেমা হল, দুটি সুইমিংপুল, বার, পুলসাইড ক্যাফে, পার্লার, হেলিপ্যাডসহ অত্যাধুনিক সব সুবিধা।

বিআইডব্লিউটিএ-র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ‘এটা সৌন্দর্যবেষ্টিত ক্রুজ সার্ভিস হবে। ভারতের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে, আমরা প্রস্তুত আছি। মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে ক্রুজ সার্ভিস এটা নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে।

একজন পর্যটক মোট ১৫ দিন থাকতে করতে পারবেন। প্রতিটি জাহাজে প্রথমবারের মতো চালু হতে যাওয়া এই উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত ভ্রমণপ্রেমীরা। এক পর্যটক বলেন, ‘আমাদের বয়সে তো আর হয়নি তবে এখন হয়েছে এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। এখন আমরা জাহাজে করে ভারত, মালদ্বীপ হয়ে নেপালসহ বিভিন্ন সার্কভুক্ত দেশগুলোতে যেতে পারব।’ আরেকজন বলেন, ‘এটা আমাদের মতো ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য খুবই আনন্দের বিষয়।’

বাংলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যেই ক্রুজ শিপগুলোর উদ্বোধনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নেভি প্রোটোকলের আওতায় ২০১৯ সালে পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নদীপথে ক্রুজ সেবা চালু হয়। সে সময় পর্যটক নিয়ে বাংলাদেশ থেকে একটি ও ভারত থেকে দুটি জাহাজ বাংলাদেশ ভ্রমণ করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.