শশায় ক্যালোরির পরিমাণ-জেনে নিন খাদ্যতালিকায় শশা রাখার চারটি আকর্ষনীয় উপায়



 ODD বাংলা ডেস্ক: রান্নাঘরে যদি যথেষ্ট পরিমাণে শশা না থাকে তবে গরমকাল যে আদৌ পরেছে, তা বলা যায় না। আপনার তৈরি স্যানডুইচ হোক বা স্যালাড শশা সেখানে থাকবেই।ছোট করে বলতে গেলে যে কোন খাবারেই শশা আলাদা মাত্রা যোগ করে,তা মিষ্টি হোক বা মসলাদার।অন্যান্য ফল বা সবজির মধ্যে শশাই একমাত্র যা প্রায় অন বাচ্চাদেরই পছন্দের তালিকায় থাকে।শশা শরীর ঠান্ডা রাখায় অন্যতম প্রধান খাবার।আপনি কি জানেন শশায় প্রায় 97 শতাংশ জল থাকে? শশায় থাকা এই অতিরিক্ত জলের মাত্রা শরীরে জলের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে গরমের দিনে।ব্যাঙ্গালোর নিবাসী পুষ্টিবিদ ডঃ অঞ্জ সুদ বলছেন, ‘যে কোন খাবার যাতে জলের পরিমাণ বেশি,সেই সব কিছুতেই অনেক পরিমাণে খনিজ লবন ও ভিটামিন থাকে।শশাতে থাকা জল শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সহায়তা করে।’


শশায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন,খনিজ লবণ,ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে এবং শশা শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।ডি কে পাবলিকেশনের ‘হিলিং ফুড’ বই টি থেকে জানা যায়, ‘লাউ জাতীয় ফলের মধ্যে শশায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন,খনিজ লবণ,ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে যা সহজেই শরীরে মিশে যায় এবং শরীরের পুষ্টি যোগায়।’এটি হৃদয় ও অন্ত্রের জন্যেও বিশেষ উপকারী।শশায় ‘ল্যারিসাইরিসাইনল’ ‘সিকোইসল্যারিসাইরিসাইনল’ ও’পাইনোরেসিনোথ্রি লিগানাস’ (উদ্ভিদ হরমোন) থাকে যা হৃদরগের সম্ভাবনা কমায়।


এছাড়াও শশায় উদ্ভিজ স্টেরল থাকে যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু শশার মুল লক্ষণীয় বিষয় টি হল তাতে থাকা ক্যালোরির পরিমাণ।যদি আপনি কোন ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তার আপনাকে নিশ্চয় খাবারে ক্যালোরির মাত্রা ঠিক রাখতে বলেছেন, এক্ষেত্রে শশার চেয়ে উপকারী আর কিছু হতেই পারে না।ওজন কমানোর খাদ্যতালিকায় শশা থাকবেই।


এখানে রইল শশা সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য যা আপনি জানতে চান

শশায় ক্যালোরির পরিমাণ শশা র আরেকটি নাম হল নেগেটিভ ক্যালোরি ফুড। নেগেটিভ ক্যালোরি ফুড বলা হয় কারণ এটি অন্যান্য খাবার দ্বারা গৃহীত ক্যালোরি হজম করতেও সাহায্য করে । অতএব বলা যেতেই পারে যে শশা শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি কে অকার্যকর করে দেয়।


কাঁচা শশায় প্রতি 100 গ্রামে মাত্র 15 ক্যালোরি থাকে। কিন্তু ক্যালোরির পরিমাণ নির্ধারিত হয় আপনি কিভাবে তা গ্রহন করছেন তার ওপর, আপনি কি তা খোসা সমেত খাচ্ছেন না খোসা ছাড়িয়ে।ইউএসডিএ-র মতানুযায়ী অর্ধেক কাপ খোসা সমেত শশায় আট ক্যালোরি থাকে,অন্য দিকে সমপরিমাণ খোসা ছাড়ানো শশায় ক্যালোরির মাত্রা হল সাত।


শশা দিয়ে বাড়ি তে বানানোর রেসিপি

শশায় থাকা ক্যালোরির পরিমাণ এটিকে পুষ্টিবিদদের কাছেও প্রিয় করে তুলেছে।কাঁচা তরতাজা শশা খাওয়াই সবচেয়ে ভালো এর বীজ ফেলা উচিৎ নয় কারণ এতে অপরিমেয় মূত্রবর্ধক উপাদান থাকে।এবং এর খোসাটিও সিলিকন, ক্লোরোফিল ও হজমকারক রাসায়নিকের ভালো উৎস।কিন্তু তাও যদি আপনি কিছু রান্না করতে চান, তাহলে এখানে আপনার জন্য দেওয়া রইল কয়েকটি রেসিপি – শশার ঠান্ডা স্যুপ আপনি এতদিন ভাবতেন স্যুপ মানে তা গরম গরম পরিবেশন করা হবে তাই ত? তাহলে এবার শশার গুনে পরিপুর্ন দই ও পার্সমেন আবৃত পাউরুটির টুকরো দিয়ে তৈরি সুস্বাদু ঠান্ডা স্যুপ খেয়ে এই গরমে পান ঠান্ডার অনুভূতি।


শশা আর কুমড়োর বীজের স্যালাড

দুপুরের খাওয়াটা কি একটু বেশিই হয়ে গেছে? সন্ধ্যায় কি কিছু হাল্কা খাবেন ভাবছেন? একবার খেয়েই দেখুন এই শশা আর কুমড়োর স্যালাড।কুচি কুচি করে কাটা শশার সাথে কুমড়োর বীজ আর ওপরে শুকনো কুমড়োর পাতা।কম ক্যালোরি যুক্ত এই স্যালাড ওজন কমানোয় অপরিহার্য।


শশা, মটরশুঁটি আর কাজু বাদামের পুর ভরা- রাগি সিঙ্গারা

শশা, মটরশুঁটি আর কাজু বাদামের পুর ভরা এই রাগি সিঙ্গারা অত্যন্ত সুস্বাদু আর স্বাস্থের পক্ষেও ভালো। সন্ধ্যের জলখাবারে একদিন বানিয়ে খেয়ে দেখতেই পারেন এই রাগি সিঙ্গারা। শশা পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ ও কম ক্যালোরি যুক্ত কিন্তু তা বলে এমন নয় যে কাল থেকে আপনি ওজন কমানর জন্য শুধুই শশা খেয়ে থাকবেন। পুষ্টিবিদের পরামর্শ মত পরিমান মত শশা খান আর সুস্থ থাকুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.